সুন্দরগঞ্জে নদীগর্ভে বিলীন আবাসন প্রকল্প-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বাস্তভিটা: কমতে শুরু পানি

0
227

আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নদ- নদীর পানি কমতে শুরু হতে না হতেই দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গণ। ভাঙ্গণ কবলে পড়েছে আবান প্রকল্প, শিক্ষা, সামাজিক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বসত-ভিটা, আবাদী জমিসহ নানান স্থাপনাদী।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা- নুরুন্নবী সরকার জানান, উপজেলার বেলকা, হরিপুর, কি বাড়ী, শ্রীপুর, চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের তিস্তা নদী কবলিত ৬ ইউনিয়নে ৩২ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বন্যার্ত ৫ হাজার ৮’শ জনসমষ্টি তথা ২ হাজার ৪’শ পরিবার বন্যা নদী ভাঙ্গণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এরমধ্যে নদী ভাঙ্গণ কবলে ৭’শ ৫১ জন মানুষ। এসব দুর্গত মানুষের জন্য বরাদ্দ মিলেছে ২৯ মেট্রিক টন চাল ও ১ হাজার ২’শ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল- ৫ কেজি, ডাল- ১ কেজি, তেল- ১ কেজি, লবণ- ১ কেজি, চিনি- ১ কেজি, শুকনো চিড়া- ১ কেজি, মুড়ি- ১ কেজি, মোমবাতি- ১ ডজন ও দিয়াশলাই- ১ ডজন করে। গত ক’দিন থেকে বন্যার পানি কমতে থাকায় পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি। বর্তমানে পানির খরস্রোতে নদী ভাঙ্গণ তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙ্গণ অব্যাহত থাকায় ভাটিকাপাসিয়া চরের আবাসন প্রকল্প নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি সংশ্লিষ্ট কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান- জালাল উদ্দীন সরকারকে সঙ্গে নিয়ে নদী ভাঙ্গণ কবলিত স্থানগুলো পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান- এ্যাডভোকেট- নাফিউল ইসলাম সরকার জীমি জানান, গেন্দুরাম আবাসন প্রকল্পের কমিউনিটি সেন্টারসহ ১৩টি পরিবারের আবাস স্থল নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় ঐসব পরিবার বর্তমানে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। বেলকা ইউপি চেঢারম্যান- ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ্ জানান, ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙ্গণ দেখা দেয়ায় নদী ভাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা দান দিন বেড়েই চলছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার- একেএম হারুন- উর- রশীদ জানান, কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদী ভাঙ্গণ হিমকীর মূখে পড়েছে। ইতোমধ্যে কাপাসিয়া ইউনিয়নের ২টি বিদ্যালয় অন্যত্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার- এসএম গোলাম কিবরিয়া জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তার জন্য ত্রাণ ও পুণর্বাসন বিভাগের বরাদ্দ মিলেছে। প্রয়োজনে ত্রাণ তৎপরতা বৃদ্ধির জন্য উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদা পাঠানো হবে।
খবর ৭১/ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here