খবর ৭১: নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) রাতে ভোটগণনা শেষে উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের দ্বিতীয় উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৯২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আফরুজা বারী পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৯১৩ ভোট।
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে ১০৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নে ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৬ জন।
এর আগে গত বছরের ২২ মার্চ প্রথমবার এই আসনের উপ-নির্বাচনে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আহমেদের কাছে ৩০ হাজার ৬৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। আর ভোট পড়েছিল ৪৯ দশমিক ৯৭ ভাগ।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনজুরুল ইসলাম লিটন দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হলে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনটি শূন্য হয়। পরে ২০১৭ সালের ২২ মার্চ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে জয়লাভ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা আহমেদ। তিনিও সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে প্রায় এক মাস ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর মারা যান। ফলে আসনটি আবারও শূন্য হয়।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) রাতে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এই আসনে ৭৪টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে ভিত্তি রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাহেদুন্নবী চৌধুরী এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
মো. সাহেদুন্নবী চৌধূরী জানান, নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ৮২ হাজার ২৯৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. রেজোওয়ান আহমেদ পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৮৪ ভোট ও ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী একেএম আশরাফুল হক পেয়েছেন ২ হাজার ২৮৭ ভোট।
এই আসনে মোট ১৩টি ইউনিয়নে ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ৩ হাজার ৫শ’ ৯৯ জন ও পুরুষ ভোটার এক লাখ ১০ হাজার ৪শ’ ১০ জন।