সুন্দরগঞ্জে একটি সড়কসহ ফুটব্রীজের জন্য জন দুর্ভোগ চরমে

0
294

আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর গ্রামে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত একটি সংযোগ সড়কসহ ফুটব্রীজের জন্য প্রত্যহ হাজার হাজার মনুষকে চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে। বিগত নব্বই দশকে নির্মিত ঐ ফুটব্রীজসহ সংযোগ সড়কের আজও কোনরূপ উন্নয়ন হয়নি।
সরেজমিনে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় মন্দির তথা সুন্দরগঞ্জবাজর থেকে তারাপুর ইউনিয়নের তারাপুর গ্রাম হয়ে কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী, উলিপুর, লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, রংপুর সদর, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকার্থে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরের নিকটস্থ গোয়ালেরঘাট নামক জলাশয়ের উপর ফুটব্রীজটি সরু (চিকন) বা প্রস্থ স্বল্পতার ফলে একটি রিক্সাভ্যান পারাপারের সময় পায়ে হাটা মানুষকে দু’পাশে অপেক্ষা করতে হয়। সারাক্ষণ ব্যস্ততম জন গুরুত্বপূর্ণ ও দূরুত্ব কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে ব্যবসা- বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, হাট- বাজারসহ নানান প্রয়োজনে যোগাযোগের উন্নয়নশীলতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বা পরিকল্পনানুযায়ী ব্রীজসহ সংযোগ সড়কটির নির্মাণ জরুরী বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এ সড়কটি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ, তারাপুর, চর-তারাপুর, খোর্দ্দারচর, বেকরীরচর, লাটশালারচর, কাশিমবাজার, মধ্যবেলকা, কিশামত সদর, জিগাবাড়ির চর, মাঝবাড়ির চর, চর-চরিতাবাড়ি, চর-হরিপুর, কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর ও চীলমারী উপজেলার চর-বজরা, নাগড়াকুড়া, বজরা, তবকপুর, গুনাইগাছা, লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, রংপুর সদর, পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলা তথা গাইবান্ধা, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার বিশেষ অংশের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্ববহণকারী জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে প্রত্যহ কয়েক লাখ মানুষের পদ-চারণা লক্ষ্যনীয়। কিন্তু, সড়কটি এখনো কাঁচা আর ফুটব্রীজটি অত্যন্ত সরু (চিকন)। দৈর্ঘ অনুপাতে প্রস্থ একেবারেই কম হওয়ায় একটি রিক্সাভ্যান বা একঘোড়াগাড়ি ব্রীজের উপর উঠলে বাইসাকেল, মোটরসাইকেল এমনকি পায়ে হাটা মানুষকেও ব্রীজের দু’পাশের কোন স্থানে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় ব্রীজের উপরে ওঠা রিক্সা-ভ্যান, ঘোড়াগাড়ি বা চলন্ত মোটরসাইকেলটি পার হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। এছাড়া, ফুটব্রীজটি পুরাতন হওয়ায় চলন্ত মোটরসাইকেল উঠলেই কাপুনি বা কম্পনের সৃষ্টি হয়। এই ফুটব্রীজ ও মেঠো পথটির দিন দিন যেমন গুরুত্ব বাড়ছে। তেমনি বৃদ্ধি পাচ্ছে জন দুর্ভোগ। এসব মানুষের ভোগান্তি লাঘবে পরিকল্পনানুযায়ী ফুটব্রীজের বদলে আধুনিক ও উন্নত মানের ব্রীজসহ সংযোগ সড়কটি নির্মাণের জন্য প্রত্যহ ভোগান্তির শিকার লাখ লাখ মানুষের পক্ষে জোরদাবী জানিয়ে তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান- আমিনুল ইসলাম বলেন- “মহান মুক্তিযুদ্ধের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, উন্নয়নের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট ৪ জেলার সম্পূর্ণরূপে ৬/৭টি উপজেলাসহ আংশিকভাবে অন্যান্য স্থানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যোগাযোগের ক্ষেত্রে লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে অতীব জরুরী ভিত্তিতে এই ফুটব্রীজ ও কাঁচা সড়কের বদলে পরিকল্পনা মাফিক ব্রীজ ও সড়কটি নির্মাণ করা হোক”।

খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here