আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শোভাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন নূরী তথ্য কমিশনের আদেশ উপেক্ষা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট তথ্যে জানা যায়, গত ১০ জুলাই বেলা দেড়টায় ঢাকাস্থ আগারগাঁও তথ্য কমিশন কার্যালয়ে ১৮৩/২০১৮ নম্বর অভিযোগের প্রেক্ষিত ২য় দফা শুনানী হয়। শুনানী অন্তে অভযোগকারী সাংবাদিক সুন্দরগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাব’র সভাপতি- আবু বক্কর সিদ্দিকের চাহিত সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদানের নির্দেশ দেন প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ। এসময় তথ্য কমিশনার- নেপাল চন্দ্র সরকার, সুরাইয়া বেগম (এনডিসি), গবেষণা কর্মকর্তা- রাবেয়া খাতুন, অভিযোগকারী সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক ও অভিযুক্ত অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন নূরী উপস্থিত ছিলেন। শুনানীর আগে অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন নূরীর নানান প্রকার বক্তব্য মিথ্যা বলে প্রমাণীত হয়। এ সময় সাংবাদিকের চাহিত তথ্য প্রদানে ব্যর্থতার স্বীকার করে কমিশনের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এর সাংবাদিককে পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে বাদ- বাকী তথ্য প্রদান করে সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিককে তাঁর চাহিত তথ্য সরাসরি প্রদান করে তাঁকে হয়রাণী না করার নির্দেশ প্রদান করেন তথ্য কমিশন। কিন্তু, সে সময়সীমা অতিক্রম হলেও বাদ- বাকী তথ্য প্রদান না করে উক্ত আদেশ উপেক্ষা করেন অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন নূরী। এ অভিযোগের পূর্ব নম্বর ২৯৫/ ২০১৭ প্রেক্ষিতে শুনানী হলে সে সময় ১৫ দিনের মধ্যে সাংবাদিককে তাঁর চাহিত তথ্য প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তথ্য কমিশনের নিকট ক্ষমা চেয়ে অর্থদন্ড থেকে রেহাই পান অধ্যক্ষ। পরবর্তীতে কমিশনের বেঁধে দেয়া সময় অতিক্রম করে সংবাদিককে বিভ্রান্তিকর, অসম্পন্ন, অস্পষ্ট তথ্য প্রদানের নামে সাংবাদিককে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অতিরিক্ত টাকা (তথ্যের মূল্য বাবদ) জমাদানে বাধ্য করিয়েছেন। মর্মে তথ্য দেয়ার নামে প্রতারণাসহ হয়রাণীর প্রতিকার চেয়ে সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক পূণঃ অভিযোগ দায়ের করেন। যার নম্বর- ১৮৩/ ২০১৮। এ অভিযোগ শুনানী অন্তে এ আদেশ প্রদান করেন মাননীয় তথ্য কমিশন। কলেজের প্রয়োজনীয় জায়গা-জমি না থাকায় ৪ দলীয় জোট সরকারামলের স্থানীয় এমপি আঃ আজিজ ওরফে ঘোড়ামারা আজিজ (আন্তর্জাতিক মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যু দন্ডাদেশপ্রাপ্ত ও পলাতক)’র ছত্রছাঁয়ায় একটি বাহিনী গঠন পূর্বক ভূমি দস্যু তান্ডব চালিয়ে কলেজের সীমানা ঘেষে অবস্থিত (উত্তর পার্শস্থ) কৃষক ইব্রাহিম আলীর জমি। যার মৌজা- উত্তর মরুয়াদহ, সাবেক দাগ নং-২৭৩৮, ডিপি খতিয়ান নং- ৬৫৮, দাগ নং- ৪৪৫৫ ভুক্ত জমির বিশেষ অংশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেন। এছাড়া, সাবেক দাগ নং- ২৭৩৮ বাটা ৩০২৩ জমিও একই কায়দায় কলেজের জবর দখলে নেন। এরপর অধ্যক্ষ তার বাহিনীর সদস্যদেরকে ভুয়া মালিক হিসেবে দাতা ও স্বাক্ষী বানিয়ে কলেজের শিক্ষক- কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদেরসহ জমির মাটি কেটে নিয়ে কলেজের মাঠ ভরাট করেন। শুধু তাই না; কৃষক ইব্রাহিম আলীর পরিবার, দোকান-পাঠ, বসতবাড়ি-ঘরে কয়েক দফা হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারপিট, ভাংচুর, লুটপাট অগ্নিসংযোগ করিয়েছেন। এরপর অসহায় পরিবারটিকে মিথ্যা মামলায় ফেলে হয়রাণী করেন। পরবর্তীতে গাইবান্ধার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলা থেকে ইব্রাহীম আলী ও তাঁর পরিবারকে অব্যাহতি প্রদান করেন। এব্যাপরে সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ১৯৭০ সালে জুন মাসে জন্ম তারিখ হলেও ১৯৮১ সালে মরুয়াদহ এইচএমকে দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশের সনদ, কলেজে বিভিন্ন পদে শিক্ষক- কর্মচারী নিয়োগ ও কলেজের জায়গা- জমি সম্পর্কে তেলেছমাতি কারবার, রাতারাতি কোটিপতির বনে যাওয়া অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়, দুদকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের আশু- হস্তক্ষেপ দরকার।
খবর ৭১/ইঃ