আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শোভাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন নূরীকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাদ- বাকী তথ্য প্রদান করে সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিককে হয়রাণী না করার নিদর্দেশ প্রদান করেছেন তথ্য কমিশন।
মঙ্গলবার দেড়টায় ঢাকাস্থ আগারগাঁও তথ্য কমিশন কার্যালয়ে সুন্দরগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি- আবু বক্কর সিদ্দিকের দায়েরকৃত পূণঃ অভিযোগ শুনানী অন্তে এ আদেশ দেন প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ। এসময় তথ্য কমিশনার- নেপাল চন্দ্র সরকার, সুরাইয়া বেগম (এনডিসি), গবেষণা কর্মকর্তা- রাবেয়া খাতুন,অভিযোগকারী সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক ও অভিযুক্ত অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন নূরী উপস্থিত ছিলেন। শুনানীর আগে অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন নূরীর নানান প্রকার বক্তব্য মিথ্যা বলে প্রমাণীত হয়। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালের ২৯৫ নম্বর অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুনানী হলে সে সময় ১৫ দিনের মধ্যে সাংবাদিককে তাঁর চাহিত তথ্য প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থদন্ড থেকে রেহাই পান অধ্যক্ষ। কিন্তু তিনি পরবর্তীতে অসম্পন্ন, অস্পষ্ট তথ্য প্রদানের নামে সাংবাদিককে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অতিরিক্ত টাকা (তথ্যের মূল্য বাবদ) জমাদানে বাধ্য করিয়েছেন মর্মে তথ্য দেয়ার নামে প্রতারণাসহ হয়রাণীর প্রতিকার চেয়ে সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক পূণঃ অভিযোগ দায়ের করেন। যার নম্বর- ১৮৩/ ২০১৮। এ অভিযোগ শুনানী অন্তে এ আদেশ প্রদান করেন মাননীয় তথ্য কমিশন।
এব্যাপারে সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ১৯৭০ সালে জুন মাসে জন্ম তারিখ হলেও ১৯৮১ সালে মরুয়াদহ এইচএমকে দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশের সনদ, কলেজে বিভিন্ন পদে শিক্ষক- কর্মচারী নিয়োগ ও কলেজের জায়গা- সম্পর্কে তেলেছমাতি কারবার, রাতারাতি কোটিপতির বনে যাওয়ায় জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়সহ দুদুকের আশু- হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
খবর ৭১/ইঃ