সুনামগঞ্জ-৫ আসনে সম্ভাব্য একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীরা

0
426

হাবিবুর রহমান নাসির ছাতক,সুনামগঞ্জ : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়াারাবাজার) আসনে আওয়ামী লীগ,বিএনপি,জাতীয় পার্টি’র সম্ভাব্য একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতোমধ্যে আগাম নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন।তার মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে,সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক,যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা,বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আইয়ূব করম আলী ও জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরী। অপরদিকে বি এন পি’র মনোয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন,সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক স¤পাদক সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন,বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মুনসিফ আলী।এদিকে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন,সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ,জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ স¤পাদক আনম ওহিদ কনা মিয়া,জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য জাহাঙ্গীর আলম,যুক্তরাজ্য প্রবাসি রুহুল আমিন।এ আসনে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শফিক উদ্দিন ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়,জামায়াতে ইসলামের অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল-মাদানী নিরবে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।অনুসন্ধানে জানা যায়, এ আসনে আওয়ামী লীগ এমপিদের মধ্যে ১৯৭৩সালের ১ম সংসদ নির্বাচনে আবদুস সামাদ আজাদ, ১৯৯৬সালের ১২জুনের ৭ম,২০০৮সালের ৯ম ও ২০১৩সালের ১০ম নির্বাচনে মুহিবুর রহমান মানিক বিজয়ী হন। স্বতন্ত্র এমপিদের মধ্যে ১৯৭৩সালের উপ-নির্বাচন ও ১৯৭৯সালের ২য় নির্বাচনে এএইচএম আবদুল হাই এবং ১৯৯৬সালের ৬ষ্ঠ নির্বাচনে কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন বিজয়ী হন।জাতীয় পার্টির এমপিদের মধ্যে ১৯৮৬সালের ৩য় নির্বাচনে এএইচএম আবদুল হাই ও ১৯৯১সালের ৫ম নির্বাচনে এডভোকেট আবদুল মজিদ বিজয়ী হন। ১৯৮৮সালের ৪র্থ নির্বাচনে জাসদ থেকে ও ২০০১সালে অনুষ্ঠিত ৮ম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন বিজয়ী হন।জানা গেছে, ১৪দলীয় জোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও জাপা ছাড়া অন্যান্য আরো ১২টি দলের কোন অস্তিত্ব এখানে নেই। এভাবে ২০দলীয় জোটের মধ্যেবিএনপি,জামায়াতে ইসলামী,খেলাফত মজলিসছাড়া এখানে ১৭টি দলের কোন অস্তিত্ব খোজে পাওয়াযাচ্ছেনা।সূত্রে জানা যায়, উপজেলা আ’লীগ দীর্ঘ ২০ বছর ধরে দুই বলয়ে বিভক্ত।এক পক্ষে রয়েছেন সুনামগঞ্জজেলাআ’লীগের সহ- সভাপতি ও ছাতক দোয়ারাবাজার নির্বাচনি এলাকার সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। অপরপক্ষে রয়েছেন ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী ও তার ভাই শামীম আহমদ চৌধুরী। ১৯৯৭ সালে ডা. হারিছ আলীকে সভাপতি ও ছানাউর রহমান ছানাকে সাধারণ স¤পাদক এবং অপর পক্ষে আবরু মিয়া তালুকদারকে সভাপতি ও ফারুক আহমদকে সাধারণ স¤পাদক করে সে সময় উপজেলা আ’লীগের একটি পাল্টা পালটি কমিটি গঠন করা হয়। দলীয় সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০০ সালে উভয় গ্রুপকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে উভয় কমিটি ভেঙে দিয়ে ডা. হারিছ আলীকে আহŸায়ক ও লুৎফুর রহমান সরকুমকে যুগ্ম আহŸায়ক করে একটি আহŸায়ক কমিটি গঠন করে দেন। কিন্তু প্রায় ২০ বছরে গ্রুপিং কোন্দলের অবসান না হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। এদিকে ডা. হারিছ আলী মৃত্যুর পর ২০১৬ সালের শেষের দিকে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে লুৎফুর রহমান সরকুম মৃত্যু বরণ করেন।অপর দিকে আগে থেকেই দুই ভাগে বিভক্ত ছাতক উপজেলা বিএনপি।এক ভাগের নেতৃত্বে রয়েছেন কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন অপর ভাগে মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান।সেই বিভেদ এবার আরও বেড়েছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে।দু’জন-ই মনোনয়নের প্রত্যাশায় মাঠে কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।তাঁদের ঘিরে বিভক্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও।আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে চলছে নানামূখি আলোচনা-সমালোচনা।তবে দু’উপজেলার উন্নয়ন কর্মকান্ড-ই এবারের নির্বাচনে মারাত্বক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন সচেতন মহল।একাধিক সূত্রে জানা যায়, সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে সভা,সমাবেশ করছেন আইয়ূব করম আলী। বিগত দু’টি জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে তিনি পাননি।আগামী নির্বাচনে আর দলীয় মনোনয়ন চাইবেন না,স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশগ্রহন করবেন বলে বিভিন সভা সমাবেশে ভোটারদের জানান দিচ্ছেন তিনি।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here