সুনামগঞ্জে সুরমার ভাঙ্গনে হুমকির মুখে দোয়ারাবাজারের বিস্তীর্ণ জনপদ

0
381

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে,অব্যাহত ভাঙ্গনে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদ। নদীও হাওর বেষ্ঠিত দোয়ারাবাজারের জনগণ অভাব-অনটন মোকাবেলা ও নদী ভাঙ্গনের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত নদী ভাঙ্গছে গ্রামের পর গ্রাম এতে বহু মানুষ সম্পদ হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়ছে। নদীর তীরে বসবাসকারী বহু মানুষ সারাক্ষন ভাঙ্গন আতঙ্কে মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে।
জানাযায়,জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলা ভারতের মেঘালয়ের পাদদেশে সুনামগঞ্জ জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫কিলোমিটার পূর্বে অবস্থান। উন্নয়নের ক্ষেত্রে সারা বাংলাদেশের মধ্যে অনেক পিছিয়ে রয়েছে এ উপজেলা। ভাঙ্গনের মূখে গ্রাম গুলো হল,ভুজনা,মাছিমপুর,মাঝেরগাঁও, উমরপুর,হরিপুর কালিকাপুর আজমপুর,সোনাপুর,কদমতলী,কাটাখালী,জলালপুর,নুরপুর,নন্দীগ্রাম,হাজারীগাঁও ও আমবারীবাজার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বিগত বছরে সুরমার ভাঙ্গনের হাত থেকে দোয়ারাবাজার উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রামকে রক্ষা করতে এমপি মন্ত্রী ও অনেক নেতাদের অসংখ্য প্রতিশ্রæতি শুনেছেন,কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে ২০অক্টোবর দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদকে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য ৩কোটি ৬২লাখ ৩২হাজার ১৬টাকা টাকা ব্যয়ে ২শ’ ৩০মিটার নদী ভাঙ্গন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ছাতক দোয়ারাবাজার আসনের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক।
স্থানীয় সূত্র মতে কাজ দীর্ঘ দিন যাবত অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত ৪ভাগের ১অংশ কাজ হয়নি। কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন,প্রশাসনের সামনে নদী ভাঙ্গন কাজে অনিয়ম হচ্ছে,বালুর স্থলে মাটি ভর্তি জিও ব্যাগ পানিতে ফেলা হয় কেউ প্রতিবাদ,ভাল মন্দ কিছু বলে না। দায় সারা মনগড়া কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার পায়তারা করছে।
ভুজনা কালিকাপুর গ্রামের খসরুজ্জামান জানান,দু’বছরে ভুজনা গ্রামের ১৫/২০টি বসতবাড়ি সুরমা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ভুজনা থেকে উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি সুরমা নদীর গর্ভে ফাটল ধরে ভেঙ্গে পড়ে গেছে।
বৃহত্তর ভুজনা গ্রামের রাস্তা দিয়ে ৭টি গ্রামের মানুষের চলাচলের এক মাত্র রাস্তা। গ্রাম গুলো হল ভুজনা,ওমরপুর,কালিকাপুর,কদমতলী,নন্দীগ্রাম,নুরপুর,সোনাপুর। ইতোমধ্যে নদী ভাঙ্গন রোধে মানববন্ধন করায় ছাতক দোয়ারার এমপি মুহিবুর রহমান মানিক ভুজনা রাস্তার নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক ও দু’দফা নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

বার বার চেষ্টা করেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আজমিরী বিল্ডার্সের সারোয়ার হোসেনকে পাওয়া যায়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ও মাহবুবুর রহমান বলেন,দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সামনে ২৩০মিটার নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ এগিয়ে চলছে ২০১৯সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা,মাটি মিশ্রিত বালু প্রসংগে বলেন,যে বালু ব্যাগে ভর্তি করার কথা ছিল সে বালু পাওয়া যায় না। তাই এই বালু ব্যবহার হচ্ছে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here