সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক সিমেন্টের জন্য সারাবিশ্বে পরিচিত। সুখ্যাতি আছে ছাতকের কমলারও। এর সঙ্গে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে শিল্পনগরী ছাতকে। তা হলো এ উপজেলায় কয়েকটি গ্রামে উন্নত ও সুস্বাদু লিচু চাষ। বিশেষ sকরে সুবিধাবঞ্চিত এসব অঞ্চলের চাষিরা লিচুর ফলনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন।
ছাতকের লিচু চাষিরা বলেছেন, ফল পাকা শুরু হতেই পাহাড়ি বাদুড় ও চামচিকা জাতীয় পাখির উপদ্রবে শতকরা ৩০-৪০ ভাগ লিচু পাকার আগেই নষ্ট হয়ে যায়। এ সময় বাধ্য হয়েই লিচু চাষিরা আধাপাকা অবস্থায়ই অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে লিচু বিক্রি করেন।
পাকা লিচু রক্ষা করতে লিচু চাষিরা গাছের মগডালে টিন বেঁধে শব্দ সৃষ্টি করে বাদুড় জাতীয় পাখি তাড়ানোর ব্যবস্থা করে থাকেন। লিচু পাকতে শুরু করলে প্রতিদিন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে এবং বৃষ্টি এলেই ঝাকে ঝাকে বাদুড় জাতীয় পাখি লিচু গাছে হানা দেয়।বাদুড় জাতীয় পাখির কারণে এখানের শতকারা ৪০ ভাগ লিচু প্রতি বছর নষ্ট হয়। আবার অনুন্নত যোগাযোগের কারণে উৎপাদিত লিচু বাজর মূল্যের তুলনায় তাদের প্রায় অর্ধেক মূল্যে বিক্রি করতে হয়।
ছাতকে লিচুর গ্রাম নামে পরিচিত নোয়ারাই ইউনিয়নের মানিকপুর, গোদাবাড়ী, কচুদাইড়, বড়গলা, রাজারগাঁও,রংপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের লিচু বাগানে শতকরা ৯৫ ভাগ গাছে মুকুল এসেছে। প্রচুর পরিমাণে লিচুর মুকুল আসায় চলতি মৌসুমে লিচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা কৃষকের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে।
খবর ৭১/ ই: