সিলেটে বিজিবি কর্তৃক ৬ কাস্টমস্ কর্মকর্তকে মারধরের প্রতিবাদে বেনাপোলে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

0
311

সিলেটে বিজিবি কর্তৃক ৬ কাস্টমস্ কর্মকর্তকে মারধরের প্রতিবাদে বেনাপোলে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : সিলেটের তামাবিল শুল্ক ষ্টেশনে পাসপোর্ট যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশীকে কেন্দ্র করে বিজিবি কর্তৃক ৬ কাস্টমস কর্মকর্তাকে মারধরের প্রতিবাদে বেনাপোলে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছেন কাস্টমস হাউসসহ বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা কর্মচারী ও কাস্টমস সংশ্লিষ্ঠ সকল ব্যবসায়ীক সংগঠনের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
গত ৬ ডিসেম্বর সিলেটের তামাবিল শুল্ক ষ্টেশনে বিজিবি সদস্যরা জোর পূর্বক পাসপোর্ট যাত্রীর ব্যাগেজ তল্লাশী করার চেষ্টাকালে কাস্টমস্ কর্মকর্তারা বাঁধা প্রদান করলে অত্র শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনারসহ ৬ জন কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে মারধর করার প্রতিবাদে রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সামনে এ মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
খুলনা কাস্টমস এক্সিকিউটিভ অফিসারস্ এসাসিয়েশন অব বাংলাদেশ(খুকাএব)’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গোলাম মোর্তজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত বিক্ষোভ সভায় প্রতিবাদি ভাষায় খুকাএব ও বেনাপোল কাস্টম হাউস এক্স্রিকিউটিভ অফিসার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোস্তফা আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, কাস্টমসের কর্তব্য কাজে বিজিবি সদস্যরা কখনও হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তথাপিও গায়ের জোর দেখিয়ে বরাবরের ন্যায় গত ৬ ডিসেম্বর সিলেটের তামাবিল শুল্ক ষ্টেশনে বিজিবি সদস্যরা জোর পূর্বক পাসপোর্ট যাত্রীর ব্যাগেজ তল্লাশী করার চেষ্টা করে। যা কাস্টমস্ কর্মকর্তারা বাঁধা প্রদান করলে উৎক্ষিপ্ত বিজিবি সদস্যরা সেখানে কর্মরত ডেপুটি কমিশনারসহ ৬ জন কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে মারধর করেন। যাদের মধ্যে ২ কর্মকর্তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। একটি সরকারি বাহিনীর চাকুরিজীবি হয়ে আরেক সরকারি বাহিনীর গায়ে হাত তোলা “যা” সম্পূর্ণ “আইন পরিপন্থী” এবং আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানোর সামীল বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এ কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, বিজিবি চাইছে একক ক্ষমতায় যাকে তাকে যখন তখন মারধর করবে, যা খুশি তাই করবে। মনে রাখতে হবে, কাস্টমস সদস্যরা সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী স্থানে প্রতিষ্ঠিত করছে। যেখান থেকে সরকারের সকল কর্মকর্তা কর্মচারির বেতন-ভাতাসহ দেশের চাকা সচল রাখতে সহায়ক হয়। তাই, প্রভুগিরি নয়, সরকারের নিয়মানুয়ায়ি যার যার কর্ম তাকেই করতে দিতে হবে এবং অবিলম্বে দোষীদের সনাক্ত করে আইনানুগ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এসময় তিনি ৩ দফা দাবি পেশ করেন। বলেন, কাস্টমস চেকিংয়ের সময় অন্য কোন সংস্থা(বিজিবি বা পুলিশ)’র অংশগ্রহণ চাই না। আগেকার মতো অস্ত্র দিতে হবে এবং অস্ত্রসহ আটকের ক্ষমতা দিতে হবে। কোসাৎ নিতিমালা সর্বস্ত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সারা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে হবে। এসময় তিনি উপরি পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কাস্টমস ও বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলার আহবান ব্যক্ত করেন। এছাড়া কাস্টমস কর্মকর্তা কর্মচারিসহ সকল নির্যাতিত মানুষকে বিজিবি কর্তৃক অন্যায়ের প্রতিবাদ করার আহবান করেন।
উক্ত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বিশ্ব নাথ কুন্ডু, নাদিম আহমেদ, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কতৃপক্ষের সিবিএ’র সিনিয়র সহ সভাপতি মনির হোসেন মজুমদার, সি এন্ড এফ স্টাফ ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীনসহ সি এন্ড এফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here