সিরিয়াল কিলার রসু খাঁসহ ৩ জনের মৃত্যুদন্ড

0
481

খবর ৭১ঃ চাঁদপুরসহ দেশব্যাপী আলোচিত সিরিয়াল কিলার রসু খাঁসহ ৩ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে চাঁদপুরের আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক আবদুল মান্নান এই রায় প্রদান করেন। অপর সাজাপ্রাপ্তরা হলো জহিরুল ইসলাম ও ইউনুছ। এদের মধ্যে ইউনুছ পলাতক রয়েছে। ২০১০ সালের ফরিদগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত পারভীন হত্যা মামলায় এই রায় দেয়া হয়। ১১ হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এই খুনী বর্তমানে চাঁদপুর জেলা কারাগারে আছে। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৯টি মামলার একটির রায় হয়েছে।

চাঁদপুরের মদনা গ্রামের ছিঁচকে চোর রসু খান ভালবাসায় পরাস্ত হয়ে এক সময় সিরিয়ার কিলারে পরিনত হয়। ২০০৯ সালের ৭ই অক্টোবর পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর এক এক করে তার লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের চিত্র বেরিয়ে আসে। জহির চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর সৈয়াল বাড়ির মোঃ মোস্তফার ছেলে। আর ইউনুছ একই বাড়ির মিছির আলীর ছেলে। আার রসু খা চাঁদপুর সদর উপজেলার মদনা গ্রামের মনু খার ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২১শে জুলাই মধ্য হাঁসা গ্রামের পূর্ব পাশের খালের দক্ষিণ পাড়ে স্থানীয় পালতালুক গ্রামের পারভীনকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে রসু খাসহ সাজাপ্রাপ্তরা। পরে রসু খা লেবু মিয়া পরিচয় দিয়ে পুলিশে ফোন করে যে, একজন নারীকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে। পুলিশ মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে রসুখাসহ অন্যদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মীর কাশেম পরে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৭জনের স্বাক্ষ্য শেষে আজ বিচারক এ রায় দেন। এর আগে অপর একটি মামলায় তাকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। চট্টগ্রামে অপর একটি মামলা তাকে খালাস দেয়া হয়।

ট্রাইবুন্যাল এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. হাবিবুল ইসলাম তালুকদার জানান, মামলাটি দীর্ঘ ৯ বছর চলমান থাকা অবস্থায় আদালত ১৭ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন এবং আসামীরা তাদের অপরাধ স্বীকার করায় নারী ও মিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর (৯) এর ৩ ধারা এবং দন্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারায় এই রায় প্রদান করেন। রসুখাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা ছাড়াও আদালতে আরো ৭টি মামলা রয়েছে।

মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর হাবিবুল ইসলাম তালুকদার ও এপিপি জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, রসু খা নিজের মুখে স্বীকার করে ১১ নারী হত্যার কথা। টার্গেট ছিল ১০১টি হত্যাকান্ড ঘটানোর। রসু যাদের হত্যা করেছে তারা প্রায় সবাই ছিল গার্মেন্টস কর্মী। কিন্তু পালতালুক গ্রামের পারভীন ছিলো ভিক্ষুক। তার পালিত একটি গরুর লোভে দুই সন্তানের জননী পারভীনকে হত্যা করা হয়।

খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here