খবর ৭১: সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর সর্বশেষ দখলকৃত এলাকায় তুমুল লড়াই চলছে। সেখানকার অধিবাসীরা প্রচণ্ড গোলাগুলি ও বোমাবর্ষণের মাঝে খাদ্যাভাব, ঠাণ্ডা ও বৃষ্টিপাতে কাবু হয়ে পড়েছে। আইএস দখলকৃত সেই এলাকা থেকে সম্প্রতি প্রায় ২শ বেসামরিক লোক পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।
দামেস্কে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’র নারী মুখপাত্র মারওয়া আওয়াদ বলেন,, চলতি মাসের জুলাই থেকে লড়াইয়ের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় হাজিন ও আশপাশের এলাকাগুলো থেকে অন্তত ১৬ হাজার ৫শ’ লোক তাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
পালিয়ে আসা নারী-পুরুষদের জন্য আশ্রয় শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তাঁবুর ভেতরে ঠাণ্ডার প্রকোপ থাকলেও অন্তত তারা বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
গত সপ্তাহে দিয়ের এজোরে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিএল) ও আইএস এর মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর তারা সেখান থেকে পালিয়ে আসে। তারা শীতকালের প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও বৃষ্টিপাত উপেক্ষা করে একটানা কয়েকদিন পায়ে হেঁটে এখানে পৌঁছে।
সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন সদ্য মা হওয়া এক নারী কামেলা। তার স্বামী বলেন, ‘ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে আমরা আমাদের বাড়িঘর ত্যাগ করেছি। সেখানে খাবার মতো কিছুই পাওয়া যাচ্ছিল না।’
মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলার সহায়তায় এসডিএফ জিহাদের সর্বশেষ ওই ঘাঁটি পুনরুদ্ধারে বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছে।
হাজিন ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে যুদ্ধবিমানগুলো আইএস এর লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে। এতে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক প্রাণহানি ঘটছে বলে জানিয়েছে ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।
মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, এই বিমান হামলায় প্রায় ৩২০ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১১৩ শিশু রয়েছে।
স্থানীয় আশ্রয় শিবির কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, সম্প্রতি আল-হোল থেকে প্রায় ১ হাজার ৭শ’ বেসামরিক লোক এখানে এসেছে।