মোঃ জহির রায়হান-সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন সলঙ্গা কলেজের পিয়ন গৌতম কুমার সুত্রধরের স্ত্রী কর্তৃক আদালতে দায়ের কৃত মামলার এজাহার ও নাটোর সদর হাসপাতাল কর্তৃক প্রদত্ত সুরতহাল প্রতিবেদনের পার্থক্য থাকায় সলঙ্গা কলেজের সাধারন ছাত্র ছাত্রী, নিহত গৌতমের পরিবার , সলঙ্গার সাধারন জনগন ও সচেতন মহলের মাঝে বিভিন্ন অমিমাংসিত প্রশ্নের উদবেগ দেখা দিয়েছেন।
মামলার কপি অনুযায়ী কিছু অমিমাংসিত প্রশ্ন হলঃ
১। আসামী হারুনর রশীদ লেবু নিহত গৌতম সুত্রধরকে দিয়ে বিভিন্ন লোকের নিকট হতে ব্লাংক চেকের মাধ্যমে টাকা নিয়ে আসতো কারন কলেজে কিছু নতুন কর্মচারী নিয়োগ করা হবে।তাহলে উক্ত বিষয়ে কি কলেজ অধ্যক্ষ ও কলেজ সভাপতি কিছুই জানতো না?
২। ১৯-০৭-২০১৮ তারিখে কারা গৌতম কুমার সুত্রধরকে অপহরন করেছিল? এবং কারা গৌতম কুমার সুত্রধরের স্ত্রী স্বপ্না রানী সুত্রধরের মোবাইলে ফোন করে হুমকি দিয়ে গৌতম কে কলেজের পুকুর পাড়ে রেখে যায়? এবং কেন কলেজ অধ্যক্ষ ও কলেজ সভাপতি উক্ত অপহরন ও হুমকির বিষয়টি থানায় জানাতে নিষেধ করে?
৩। ২৫-০৭-২০১৮ তারিখে সকাল ০৮ ঘটিকায় হারুনর রশীদ লেবু ও চারজন রেইন কোট পড়া ব্যক্তি গৌতমের বাড়ি থেকে ডেকে কোথায় এবং কেন নিয়ে যায়? রেইনকোট পড়া চারজন ব্যক্তি কারা?
৪। ২৬-০৭-২০১৮ তারিখে গুরুদাসপুর থানা যখন লাশ উদ্ধার করে তখন লাশের বুক পকেটে কার হাতের লেখা স্বপ্না রানী সুত্রধরের মোবাইল নম্বর ছিল? যদি আত্ম হত্যা হয় তবে ঐ মোবাইল নম্বরটি লেখা থাকতো গৌতম কুমার সুত্রধরের হাতের। লাশ উদ্ধারের সময় মানিব্যাগ ও চামরার জুতা ছিলনা কেন? যদি সেটা আত্মহত্যা হয়? মামলায় স্বপ্না রানী সুত্রধর উল্লেখ করেছেন গৌতমের বাম বুকের ডান চিবুকে কালচে দাগ ছিল কিন্তু সুরতহাল রিপোর্টে সেটা উল্লেখ করা হয় নাই কেন?
সকলের আশা এই যে, আদালতের নির্দেশে ৩১ অক্টোবর দুপুরে সলঙ্গা মহাশ্মশান ঘাটের কবর থেকে গৌতম কুমার সুত্রধরের মৃতদেহ পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে। এই বার সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের সুরত হাল রিপোর্টে ও কর্তৃপক্ষের তদন্তে অমিমাংসিত প্রশ্ন গুলোর সমাধান হবে।
খবর৭১/ইঃ