খবর ৭১ঃ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে নির্বাচন ও ভোটকে যাদুঘরে পাঠানোর সকল বন্দোবস্ত করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
শেখ হাসিনার গণতন্ত্র বিনাশী ভোট ডাকাতির সর্বশেষ লেটেষ্ট মডেলের নির্বাচন গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হলো মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সরাসরি সহায়তায় আওয়ামী লীগ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আরেকটি প্রতারণার নির্বাচন উপহার দিলো। এই নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগ তৃপ্তির ঢেকুর তুললেও দেশে-বিদেশে এটি কলঙ্কিত নির্বাচনের আরেকটি ইতিহাস হয়ে রয়ে গেল।
গাজীপুরে ৯টির বেশী কেন্দ্রে অনিয়ম কেউ দেখাতে পারবে না- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যর সমালোচনা করে তিনি বলেন, কাদের সাহেবকে বলতে চাই- গতকাল ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, গাজীপুরে ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। আর আমরা বলতে চাই, আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে, গাজীপুরে প্রায় সকল কেন্দ্র দখল করে জালভোটের মহোৎসব চলেছে।
নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে সরকার কয়েকটি কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিল উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ম্যানিপুলেশন, আতঙ্ক সৃষ্টি করা, পুলিশের এসপি’র ভোট ডাকাতিতে সরাসরি অংশগ্রহণ, ভোটারদের মনে ভয় সৃষ্টিতে পোশাকধারী ও সাদা পোশাকধারীদের বেপরোয়া কার্যকলাপ, ভয় দেখিয়ে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, যতো কূটকৌশলই অবলম্বন করুন না কেন বেগম জিয়াকে মুক্তি দিতেই হবে এবং সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত করতে আপনাদেরকে বাধ্য করবে জনগণ।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন থেকে বেগম জিয়াকে দুরে রাখতেই প্রহসনের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাজা দিয়ে কারাবন্দী করে রাখা বর্তমান সরকারের মাস্টারপ্ল্যানেরই এটি একটি অংশ। আমি সরকারে বলতে চাই, বর্তমান সরকারের বিদায়ের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে।
আবারো অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার জোর দাবি জানান বিএনপির এই মুখপাত্র।