খবর ৭১: সামরিক শক্তিতে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৭ আর মিয়ানমার রয়েছে ৩১তম অবস্থানে। তালিকায় বরাবরের মত প্রথম অবস্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। এরপরই যথাক্রমে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে চীন ও ভারত।
২০১৭ সালের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের মোট ১৩৩টি দেশের ওপর ওই তালিকা করা হয়। এ তালিকা প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার (জিএফপি)। এসব দেশের সামরিক শক্তি বিবেচনা করে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে করা তালিকায় ১২২ টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫৩ তম। ব্যাপক আলোচিত দেশগুলোর মধ্যে উত্তর কোরিয়াকে রাখা হয়েছে ২৩ নম্বরে। মিয়ানমার আছে ৩১ নম্বরে।
পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তান এর আগে ছিল ১৭ নম্বরে। তবে এবার পাকিস্তান উঠে এসেছে ১৩ নম্বরে। সেরা ১৫তে থাকা বাকি দেশগুলো হল- ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জাপান, তুরস্ক, জার্মানি, মিসর, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও ইসরায়েল।
সামরিক সক্ষমতার ভিত্তিতে তালিকা করতে জিএফপি ৫০টি বিভাগ নির্ধারণ করেছে। বিভাগগুলোর মধ্যে রয়েছে সামরিক সরঞ্জাম, প্রাকৃতিক সম্পদ, শিল্প, ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, সেনাসংখ্যা প্রভৃতি। দেশগুলোর পারমাণবিক বোমার সংখ্যা এই ক্রম নির্ধারণে বিবেচনা করেনি জিএফপি বরং পারমাণবিক সক্ষমতা আছে কি না সেটিই বিচার করেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার সদস্যের সক্রিয় সামরিক বাহিনী রয়েছে। ভারতে এ সংখ্যা ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৫০০। চীনে ৩৭ লাখ ১২ হাজার ৫০০ এবং পাকিস্তানে ৬ লাখ ৩৭ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৬৬টি এয়ারক্রাফট। প্রতিবেশী ভারতের কাছে আছে ২১০২টি এয়ারক্রাফট। চীনের আছে ২৯৫৫ টি ও পাকিস্তানে আছে মোট ৯৫১টি এয়ারক্রাফট।
ওই রিপোর্ট অনুসারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে আছে মোট ৫৩৪টি ট্যাঙ্ক, ৯৪২টি সশস্ত্র সাজোয়া যান, ১৮টি স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি গান, ৩২টি রকেট প্রজেক্টর। ওই রিপোর্টে বলা হয়, চীনের কাছে রয়েছে ৬৪৫৭টি ট্যাঙ্ক। ভারতের আছে ৪৪২৬টি ও পাকিস্তানের কাছে আছে ২৯২৪টি ট্যাঙ্ক। এ সংখ্যা বাংলাদেশের প্রায় ৬ গুন।
রিপোর্টে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের কাছে আছে মোট ৮৯টি ‘নেভাল এসেট’। এ দেশের কাছে আছে ৬টি ফ্রিগেট, চারটি করভেটিস, ২৮টি পেট্রোল ক্রাফট, ৫টি মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল। তবে বাংলাদেশের কাছে কোনো বিমানবাহী ক্যারিয়ার, ডেস্ট্রয়ার বা সাবমেরিন নেই।