খবর৭১ঃনব্বইয়ের দশকে এ দেশে ফুটবলের জোয়ার ছিল। সেই সময়ে কচ্ছপের গতিতে এগিয়েছে ক্রিকেট। সময়ের ব্যবধানে হারিয়ে যেতে বসেছে ফুটবল। ফুটবলের সেই জোয়ার এখন শুধুই ইতিহাস। ফুটবলের হারানো জায়গা দখল করে নিয়েছে ক্রিকেট।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ক্রিকেটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যে দলটি এক সময়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার স্বপ্ন দেখত, তারাই এখন স্বপ্ন দেখছে বিশ্বকাপ জয়ের। ক্রিকেটের এই উন্নয়নের ফলে ক্রীড়াঙ্গনেও পেশাদারিত্ব এসেছে।
একসময়ে শখের বসে খেলাধুলায় অংশ নেয়া হলেও এখন ক্রিকেট-ফুটবল-হকির মতো খেলাকে পেশা হিসেবে নিচ্ছেন খেলোয়াড়রা। সরকারি-বেসরকারি চাকরির মতো খেলাধুলা করেও এখন সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করা সম্ভব।
ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়ন এবং খেলাধুলায় পেশাদারিত্ব আনতে যে মাধ্যমগুলো অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অন্যতম। যে প্রতিষ্ঠান সাকিব-মুশফিকদের মতো তারকা ক্রিকেটাদেরকাগজে-কলমে শিক্ষা দিয়ে জাতীয় তারকা হওয়ার পথ তৈরি করেছে। সেই তৈরি করা পথ অনুসরণ করেই বিশ্বসেরা হয়েছেন সাকিব আল হাসান।
কাজেই আগামীর সাকিব-মুশফিক, জাহিদ হাসান এমিলির মতো ফুটবলার এবং রাসেল মাহমুদ জিমির মতো হকির তারকা হতে হলে বিকেএসপির বিকল্প নেই।
যারা আগামী দিনে জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখছেন, উঠতি সেসব তরুণদের উচিত সময় না নিয়ে বিকেএসপিতে দ্রুত যোগাযোগ করা।
চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে শুরু হবে ভর্তি বাছাই প্রক্রিয়া। চার দিনব্যাপী বাছাই প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণরা, ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, শুটিং, অ্যাথলেটিক্স, আর্চারি, বাস্কেটবল, বক্সিং, সাঁতার, টেনিস, ও ভলিবলসহ ১৭টি খেলায় আধুনিক প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগ পাবে।
বিকেএসপিতে যারা ভর্তি হতে পারবেন
সাধারণত চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবে।
ভর্তির আগে আবেদনকারীর স্বাস্থ্য, বয়স এবং খেলার দক্ষতা যাচাইয়ে উত্তীর্ণদের সাত দিনের বাছাই ক্যাম্পে ডাকা হয়। ক্যাম্পে সকাল-বিকাল অনুশীলনের পাশাপাশি নেয়া হয় ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে পরীক্ষায় পাস করলে নেয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। সেখানে পাস করলেই বিকেএসপিকে ভর্তির সুযোগ মিলবে। কাজেই আর বসে না থেকে আগামীর সাকিব-তামিম হতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিন।
খবর৭১/ইঃ