সাকিবকে এশিয়া কাপে খেলার জন্য বাধ্য করা হয়নি: পাপন

0
225

খবর৭১ঃনিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই এশিয়া কাপে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। রিস্ক নিতে গিয়েই এখন হাসপাতালের বিছানায় কাতরাতে হচ্ছে তাকে। সাকিব চেয়েছিলেন এশিয়া কাপের আগেই হাতের অস্ত্রোপচার করাতে।

কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেক বোর্ড (বিসিবি) থেকে জোর করা হলে সাকিব আর না বলেননি। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে বাজে অবস্থায় পড়েছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। তার হাতের যা অবস্থা তাতে আগামী তিন মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে।

তবে কার দোষের কারণে সাকিবের আজ এই অবস্থা। এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমি সাকিবকে ঝুঁকি নিতে নিষেধ করেছিলাম। বলেছিলাম ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে। সাকিব আমাকে জানায়, ডাক্তার তাকে অভয় দিয়েছেন যে, কোনো সমস্যা হবে না। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, খেললে আঙুলের অবস্থা খারাপ হবে কি না। ও বলেছে, না হবে না।’

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘হজে যাওয়ার আগে সাকিব আমাকে ফোন করে জানতে চেয়েছিল কী করবে। আমি বলেছিলাম, তোমার যদি হাতে ব্যথা থাকে এবং তুমি যদি মনে করো ব্যথা নিয়ে খেলা সম্ভব নয়, তাহলে এখনই অস্ত্রোপচার করে ফেল, কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু যদি মনে কর খেলা সম্ভব তাহলে এশিয়া কাপ শেষে অস্ত্রোপচার করালে দলের জন্য ভালো হয়। সিদ্ধান্ত তোমার।’

পাপন আরও বলেন, ‘আমি দুবাই থেকে ঢাকায় ফিরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আবার সেখানে গিয়েছিলাম। হোটেলে ঢুকেই দেখি সাকিব কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছে। কেউ কেউ বলল, পাকিস্তানের বিপক্ষে তাকে খেলতেই হবে। সে জানায়, খেলতে পারব না। আমি তখন তাকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে বলি। পরে শুনি সে ঢাকায় ফিরেছে। দেশে ফিরে আমি হাসপাতালে তাকে দেখতে গেলাম শুনলাম পরদিন তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। সাকিব বলল, সে আমেরিকা যাবে। রাতে শুনলাম সে বাসায় চলে গেছে। আমি তুরস্কে গিয়ে শুনলাম সাকিব আমেরিকায় নয়, অস্ট্রেলিয়া গেছে।’

কার অবহেলায় সাকিবের এ অবস্থা। এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হাসান বলেন, ‘এ রকম হলো কী করে? হঠাৎ হাতে পুঁজ হলো কেন? আমাদের কাছে এটা বড় প্রশ্ন। আমরা সবাই অবাক। বিসিবির প্রধান চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি সংক্রমণের বিষয়ে বাইরে থেকে দেখে তাদের পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না। সাকিব অভিযোগ করেনি। আমরা চেষ্টা করছি।’

মেলবোর্নের অর্থোপেডিক সার্জন প্রফেসর গ্রেগ হয়কে নিজের বাঁ-হাতের আঙুল দেখিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গ্রেগ জানিয়েছেন সব কিছু ঠিক আছে। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সাকিব বলেন, ‘রিপোর্টে কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি। ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণে আছে। খেলার জন্য পুরোপুরি ফিট হতে সময় লাগবে।’

আগামী রোববার পর্যন্ত সাকিবকে হাসপাতালে থাকতে হবে। তবে ব্যাট হাতে নিতে অপেক্ষা করতে হবে মিনিমাম তিন মাস। এই সময়ের মধ্যে ব্যথা কমে গেলে তখন বোঝা যাবে হাতে অস্ত্রোপচার লাগবে কি না। যদি ব্যথা থেকে যায় তাহলে অস্ত্রোপচারের বিকল্প নেই।

গত জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে শ্রীলংকা এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আঙুলে চোট পান সাকিব। সেই চোট নিয়েই দলের স্বার্থে খেলেছেন। সর্বশেষ এশিয়া কাপেও তার চোট নিয়ে অনেক কথা হয়।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here