সাংবাদিক মোজাম্মেলকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সুনামগঞ্জে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

0
397

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূইঁয়া গত বুধবার ১৯জুন নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ৩৬ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার বিকালে তার পরিবার জানতে পারে একটি মামলায় তাকে আটক করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
এনিয়ে এই সাংবাদিকের বিরোধীরা,সীমান্তের চাঁদাবাজ ও সাইবার সস্ত্রাসীরা অতিরঞ্জিত ও আক্রোশ মূলক ভাবে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ ও অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। এরপর থেকে সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলাসহ জেলার ১১টি উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক সুধি সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সর্বস্থরের জনসাধারনের মাঝে ক্ষোবের সঞ্চার হয়েছে।

জানাযায়,সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূইঁয়া সাবেক সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হিসাবে মাইটিভি ও মানবকন্ঠ পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। এরপূর্বে তিনি মোজাম্মেল দৈনিক মানবজমিন,নয়াদিগন্ত,জালালাবাদ পত্রিকায় তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এখন তিনি সাংবাদিকতার পাশা পাশি মডেলিং ও মিউজিক ভিডিওসহ নাটক নির্মানে করছেন এবং বাংলাদেশ চলচিত্র সমিতির সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করছেন।
আরো জানাযায়,সাংবাদিক মোজাম্মেল সাংবাদিকতার শুরু থেকে র্দীঘ ৩যুগেরও বেশী সময় ধরে নিজ এলাকা তাহিরপুর উপজেলা ও সুনামগঞ্জ সীমান্তের মদ,গাজা,চোরাচালান,চাদাঁবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজের বিরোদ্ধে সচ্চার হয়ে তার পত্রিকায় ও টিভিতে সংবাদ প্রকাশ করে আসছিল। এর জের ধরে তাহিরপুর উপজেলার চিহ্নিত আলোচিত প্রধানমন্ত্রীর পোষ্টার আগুনে পুরানো,হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি কালী মূতি ভাঙ্গা,সীমান্তের চাদাঁবাজীসহ প্রায় ১০-১২বিভিন্ন মামলার আসামী তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের বিশিষ্ট সুধি ব্যবসায়ী মৃত বদ মিয়ার ছেলে হাবিব সারোয়ার আজাদ মিয়া ক্ষিপ্ত হলে উঠে। এর পর তার ছেলে শিহাব সারোয়ার শিপু দূঘটনাবশত আগুনে পুরে যায়। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে পরিকল্পিত ভাবে এসিড নিক্ষেপের নাটক সাজিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১১কিলোমিটার দূর তাহিরপুর উপজেলা সদরে বসবাসকারী সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূইঁয়াকে মামলায় ফাঁিসদেয়। তখন এলাকাবাসী মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন সাংবাদিক সম্মেলন করেছিল। আজাদ তার স্বার্থের কারনে যে কোন জগন্য কাজ করতে পারে। সত্য সংবাদ প্রকাশ করায় আরেক সাংবাদিক রাজু আহমেদ রমজানের বিরোদ্ধে মামলা দায়ের করে পরে আদালত তা মিথ্যা প্রমানিত হয়।
আজাদ মিয়া একটি জাতীয় দেনিক পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য নিজের আইডি থেকে নামে বেনামে মনগড়া সংবাদ পাঠিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার অপচেষ্টায় চালিয়ে যাচ্ছে এরপর থেকে এখনও। এবং পুলিশ,বিজিবিসহ বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ভুল ভুজিয়ে নানান ভাবে হয়রানীর করার জন্যতার সাথে তাহিরপুর সীমান্তের ৮মশ্রেনী পাশ এক সাংবাদিকসহ কয়েকজন সহযোগী,সীমান্তের চাঁদাবাজ,সাইবার সত্রাসীরাও একেই কায়দায় অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। যার ফলে স্থানীয় সাংবাদিক সুধি সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের মাঝে ক্ষোবের সঞ্চার হয়েছে। এজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলাবাসী ও সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া পরিবার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সাংবাদিকগন জানান,কিছু দিন আগেও আজাদ মিয়া ইয়াবা ট্যালেটসহ স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের হাতে দেয়। এছাড়াও সীমান্তে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে লাকমা ছড়া,বড়ছড়া বাজারে মহিলা শ্রমিকদের হাতে গনধোলাইয়ের শিকার হয়। এছাড়াও পন র্তীত মেলাও চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গনধৌলায় দেয় স্থানীয়রা। তার আপন ফুপাত দুই ভাই স্বরাষ্টমন্ত্রনালয়ের তালিকা ভুক্ত হুন্ডি ব্যবসায়ী। সে নিজেরও হুন্ডি ব্যবসার সাথে জরিত। সে সব সময় বর্তমান সরকার বিরোধী ও পুলিশ প্রশাসন বিরোধী কার্যকমের সাথে অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জরিত। এতে সরকারের ভবিমূতি ক্ষুন হওয়ায় সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া ও তার ভাই সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া এর প্রতিবাদ জানায়। এর পর থেকে আরো বেপরোয়া হয়ে যায় আজাদ মিয়া তার সহযোগীদের নিয়ে। সে একাধিক বার পুলিশ প্রশাসনের ভার্বমূতি ক্ষুন করার জন্য সুনামগঞ্জ জেলার সুনামধন্য জেলা পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খানের বিরোধেসহ তাহিরপুর থানায় ওসি নন্দন কান্তি ধর,এসআই তপন,জালাল উদ্দিন,জামাল উদ্দিন,মুহিত মিয়া,এএসআই রেজাসহ কয়েকজনের বিরোদ্ধে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে মানহানী করে।
আর আজাদ মিয়ার বোন মুক্ত বেগম তার স্বামীর নিজ বাড়ির গৃহ কর্মীর সাথে অনৈতিক কাজের ঘটনায় একজনকে হুমকি দিতে গিয়ে বলে যে ছেলে শিপুকে এসিড মারছে তাকে না ধরার জন্য তৎকালিন এসপি হারুনর রশিদকে ১০হাজার টাকা প্রতি মাসে দেয় বলে হুমকি দেয়।
পরে এই বিষয়ে সাংবাদিক মোজাম্মেলের পরিবার লিখিত ভাবে অভিযোগ দেয় সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার,ডিআইজিসহ বিভিন্ন দপ্তরে। বিভিন্ন পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসীন্দা সজিব,শফিকুল,রহিমসহ অনেকেই জানান,সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া সৎ সাংবাদিক হিসাবে র্দীঘদিন সুনামের সাথে সুনামগঞ্জ সীমান্তের মদ,গাজা,চোরাচালান,চাদাঁবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজের বিরোদ্ধে সচ্চার হয়ে সংবাদ তার পত্রিকায় ও টিভিতে সংবাদ প্রকাশ করায় কাল হয়ে ধারায়। এর কারনে তার উপর একাধিকবার হামলা করে আজাদ মিয়া ও তার সহযোগীরা। পরে সাংবাদিক মোজাম্মেল আইনের আশ্রয় নেয় ও মামলাও দায়ের করেন। কিন্তু কোন বিচার পায় নি। মামলা দায়ের করার পরেই আজাদ এসিড নিক্ষেপের নাটক তৈরী করে মামলা দায়ের করে।

স্থানীয় এলাকাবাসী আরো জানান,যখন এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্ধ গ্রামের কলেজ রোড়ে আর সাংবাদিক মোজাম্মেল তখন অবস্থান করে ১১কিলোমিটার দুর তাহিরপুর উপজেলা সদরে অবস্থান। কিন্তু আজাদ তার পরিকল্পিত আর কুট কৌশল দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য মামলায় শুধু মোজাম্মেলকে একা আসামী করে।

সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূইঁয়ার পরিবারের সদস্যগন জানান,আমরা প্রতিহিংসার শিকার। আজাদ মিয়ার অবৈধ ক্ষমতা ও টাকার কাছে আমরা কিছুই না। আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে আর আগুনে পুড়ার ঘটনা সবাই জানে। কিন্তু আজাদ মিয়া এটাকে নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য এসিডের মামলা দায়ের করে। এখন মন গড়া সংবাদ প্রকাশ করছে। আমরা ন্যায় বিচার চাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here