খবর৭১ঃবর্ণবাদী ও বাজে মন্তব্য করায় ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। ইতিমধ্যে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এতে পাক ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ওপর বেজায় চটেছেন দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম।
দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান ৫ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিং করছিলেন আন্দিলে ফিকোয়াও। একপর্যায়ে তাকে উদ্দেশ্য করে বর্ণবৈষম্যমূলক ও বাজে মন্তব্য করেন উইকেটের পেছনে থাকা সরফরাজ। ক্যামেরায় স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে সেই দৃশ্য। ম্যাচটিও হেরে যায় পাকিস্তান। ম্যাচ শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে সমলোচনার ঝড় ওঠে।
তীব্র রোশানলের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চান সরফরাজ। পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়সহ বোর্ড তাকে ক্ষমা করে দেয়। তবে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকায় ক্ষমা করেনি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা (আইসিসি)। ৪ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ঝুলিয়ে দেয় তার ওপর। ফলে ওয়ানডে সিরিজের বাকি ২টি এবং ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টিতে বাদ পড়েন তিনি। ইতিমধ্যে ক্যাপ্টেনকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে এনেছে পিসিবি।
এতে যারপরনায় বোর্ডের ওপর ক্ষেপেছেন ওয়াসিম। তিনি বলেন, সরফরাজের এমন মন্তব্য করা উচিত হয়নি। তবে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনাটাও ঠিক হয়নি।
কিং অব সুইং খ্যাত পেসার বলেন, সরফরাজকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরত আনার সিদ্ধান্তটা ভুল। শেষ টি-টোয়েন্টিটা সে খেলতে পারত। তার এমন আচরণ করাটা ঠিক হয়নি। তবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ওর মন্তব্য নিয়ে পাকিস্তানিরাই বেশি মেতেছে।
এতে কোনো কিন্তুও দেখছেন অনেকে। অনেকে বলছেন, সরফরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিতেই এ সিদ্ধান্ত। তবে পিসিবি বর্তমান ক্রিকেট কমিটির অন্যতম সদস্য ওয়াসিম পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন,তাকেই দলের নেতৃত্বে রাখা উচিত।
’৯২ বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বলেন, বিশ্বকাপে আগে দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনাটা ঠিক হবে না। দীর্ঘ সময়ের জন্য নেতা দরকার আমাদের। শোয়েব মালিক এখন দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং ভালো করছে। এটা ইতিবাচক দিক। তবে মাথায় রাখতে হবে বিশ্বকাপের পর অবসরে যাবে সে।
খবর৭১/ইঃ