‘সরকার মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে দল ভাঙার চেষ্টা করছে’

0
238

খবর ৭১ঃ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া বলেই মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে আমাদের দল ভাঙার চেষ্টা করছে। আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শীর্ষক আলোচন সভায় তিনি এ কথা বলেন। মির্জা আলমগীর বলেন, আমাদের নেত্রী কারাগারে আছেন। তাকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। এমন সময় বিভিন্নভাবে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, তারা কতো বড় দুর্বল। দল ভাঙার চেষ্টা করে। আমাদের বিষয়ে মিথ্যা কথা লেখে স্যোশাল মিডিয়াতে। এই মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। ইতিহাস বলে এই সব মিথ্যা প্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যায়না।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, আমরা নির্বাচনমূখী দল। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। সবসময়ই উদার গণতন্ত্রের রাজনীতি করি। আমরা বরাবরই বলে এসেছি এই নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে যে, মৌলিক বিষয়গুলো নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত এদেশে নির্বাচন হওয়া খুব কঠিন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আমরা বরাবরই করে আসছি। আমরা নীতিগতভাবে ঘোষণা দিয়েই করে আসছি। আমরা জাতীয় সংসদ সম্পর্কে বলেছি খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচন করবোনা। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা পরিষ্কার কথা বলি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হলো আমাদের এক নম্বর দাবি। এক নম্বর শর্ত। তাকে আগে মুক্ত করতে হবে। তার পর অন্যকিছু নিয়ে আলোচনা হবে। এর আগে কোনো কিছুর আলোচনা পর্যন্তও হবেনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন কঠিন সময় চলছে। ১৯৭১ সালে যখন যুদ্ধ চলছিল তখন একটি নাটক খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। নাটকটির নাম ছিল ‘এখন দুঃসময়’। সেই দুঃসময় এখন আরো অনেক বেশি। এতো বড় দুঃসময় এর আগে কখনো আসেনি এদেশে। তিনি বলেন, অনেকেই মনে করেন আমরা বিরোধী দল করি, এই বিরোধীতার কারণেই হয়তো এগুলো বলে থাকি। কিন্তু আসলে তা নয়। তখনের চেয়ে এখন আরো বেশি দুঃসময় চলছে। এটা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। চিন্তা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে দেশের অস্তিত্ব টিকে থাকার কোনো মূল্য নেই। তাদের কাছে মূল্য আছে যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় টিকে থাকার।
দলের নেতাদের নামে দুদকের অভিযোগের বিষয়ে ফখরুল বলেন, আমাদের কিছু নেতার ব্যাংক একাউন্ট থেকে সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়ে তদন্তে নেমেছে দুদক। তারা ব্যাংকের কাছে চিঠি দিয়েছে নেতাদের ব্যাংক একাউন্টের বিস্তারিত চেয়ে। কিন্তু এমন মানুষের ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়েছে যাদের ওই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট নেই। তিনি বলেন, সরকারি দলের একটা থানা পর্যায়ের বা জেলা পর্যায়ের নেতাদের যে সম্পদ হয়েছে তার আশপাশে যাওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। কিন্তু সরকারি দলের নেতাদের নামে তদন্ত করার সময় কোথায় দুদকের। তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিরোধী দলের নেতাদের বিষয়ে তদন্ত করার। জাগপা সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিশের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মো. ইসহাক, এলডিপি মহাসচিব ড. রেদয়ানুল আহমেদ, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here