সরকার গমে জবে বাঙালী সৃষ্টি করতে চায় -মঞ্জুর হোসেন ঈসা

0
439

খবর ৭১:চাল, পেঁয়াজ ও ডালের গায়ে আগুন ধরে গেছে। সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে তার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করতে পারছেন না। দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। এক সময় শুনতাম মাছে-ভাতে বাঙালি, সেই বাঙালি ডালে-ভাতে পরিনত হয়েছিল। বর্তমান সরকার গমে জবে বাঙালি সৃষ্টি করতে চায়। তা নাহলে ১০টাকার সেরে চাল খাওয়াবে সেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন কেন ৭০-৮০ টাকা সেরে চাল খাওয়াচ্ছে। পেঁয়াজের দাম ৮০-৯০ টাকা। গরবী মানুষ কোথায় যাবে। আমাদের খাদ্যমন্ত্রী যে মায়ানমার থেকে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে, সেখান থেকে তিনি পঁচা সাদা চাল আমদানী করার জন্য ছুটে গিয়েছিলেন। আলামত মোটেও ভালো নয়। জনগনের সেবা করতে না পারলে ক্ষমতা আটকে রাখছেন কেন? ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দিন। গণতান্ত্রিক সরকার এসে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই চাল, ডাল ও পেঁয়াজের দাম রাখবে।
৮ নভেম্বর ২০১৭ বুধবার সকাল ১১: ৩০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গণ ঐক্যের উদ্যোগে চাল, ডাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূলের দাম কমানোর দাবীতে আয়োজিত মানববন্ধনে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির মহাসচিব ও এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি আরমান হোসেন পলাশের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, সহ তথ্য গবেষণা সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, হকার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি এম সাইফুর রহমান, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ যুব ঐক্যের সমন্বয়কারী ওমর ফারুক সেলিম, সাংবাদিক জাহিদ মঞ্জু, সংগঠনের নেতা নাজিম উদ্দিন, নাছির উদ্দিন, মোঃ রিপন, লিমন, জহির সহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এর আগে জাতীয় মানবাধিকার সমিতির মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা ভাড়াটিয়া ঐক্য পরিষদের লিফলেট বিতরন কর্মসূচিতে বলেন, বাড়ীওয়ালা ইচ্ছামত ভাড়াটিয়াদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। বিশেষ করে অসহায় ও গরীব ও ছিন্নমূল মানুষ তাদের উপর নির্যাতনের মাত্রা অনেক বেশি। তিনি বলেন, গত তিন দিন যাবৎ তেজগাঁও শিল্প অঞ্চলের ২৬/৬/এ/৪ মধ্য কুনিপাড়া, জাবের মঞ্জিল সহ পাশে আরেকটি চারতলা বিল্ডিং এ তিন যাবৎ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন। বাড়ীর মালিক হাজী মোঃ আব্দুস সোবহান বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় গত ১৫ দিনে তার দুই বাড়ীর বিদ্যুৎ সংযোগ কর্তৃপক্ষ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সেখানে বসবাস করে প্রায় ৮০টি ভাড়াটিয়া পরিবার। সবমিলে প্রায় ২০০-২৫০ জন লোক। তাদের ব্যাপারে বাড়ীওয়ালা উদাসীন। তার কাছে প্রতিকার চাইতে এক ভাড়াটিয়া গিয়া উপস্থিত হলে তাকে ভৎর্সনা দিয়ে বলে মন না চাইলে চলে যান। কবে বিদ্যুৎ দিতে পারবো জানি না। এভাবে অনেক জায়গায় ভাড়াটিয়া নির্যাতনের শিকার হয় কিন্তু দুর্বল ও গরীব হওয়ার কারণে প্রতিবাদ করতে পারে না। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

খবর ৭১/ ই:

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here