সরকারের আজকের কর্মসূচি এক বিকৃত তামাশা:রিজভী’

0
257

খবর৭১:
‘সরকারের আজকের কর্মসূচি এক বিকৃত তামাশা’ মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গোটা ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট অচল হয়ে গেছে, জনজীবন হয়ে গেছে সম্পূর্ণভাবে স্থবির, ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ রাস্তায় আটকা পড়ে আছে। সরকার বলছে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কোন কর্মসূচি করতে দেয়া হবে না, অথচ উল্টো সরকারই জনদুর্ভোগ সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সত্যি আমরা আজব দেশে বাস করছি যা শামসুর রহমানের একটি কবিতা মনে পড়লো- আজব দেশের ধন্য রাজা, দেশজোড়া তার নাম, বসলে বলে হাঁটরে তোরা, চললে বলেন- থাম, থাম, থাম, থাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

উন্নয়নের নামে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে জিম্মি করে আওয়ামী লীগের যেকোন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে বাধ্য করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র শরবিদ্ধ, সুশাসন আওয়ামী চাকায় পিষ্ঠ। এই গণতন্ত্রহীন দেশে লুটপাটের নামে জনগণের টাকা আত্মসাৎকে এরা উন্নয়ন বলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় খরচে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করছেন, নৌকায় ভোট চাচ্ছেন। সরকারি কর্মচারীদেরকে যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা নির্বাচনী আচরণবিধির সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। ইলেকশন কমিশন এসব দেখেও না দেখার ভান করে বরং সরকারকে সহযোগিতা করছে।

রিজভী বলেন, ‘দেশের জনগণের সমর্থন না থাকায় আওয়ামী লীগ দিশেহারা হয়ে বিভিন্ন দেশে দেশে লবিয়িং করতে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বেশ কয়েকটি দেশে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে। গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনতো দেশে বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। তাই বিদেশী বন্ধুরা তাদের প্রশ্ন করছেন আগামী নির্বাচন কি আবারও ভোটারবিহীন হবে, নাকি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সকল দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে? যুক্তরাজ্য ও জেনেভায় আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীরা কিভাবে অপদস্ত হয়েছেন তা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাই বলতে চাই, কোন চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ সফল হবে না। বরং দেশে-বিদেশে তারা ধিকৃতই হবে। সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আবারও ২০১৪ এর ৫ জানুয়ারির মতো প্রহসনের নির্বাচন করা সম্ভব হবে না ভেবেই বর্তমান শাসকগোষ্ঠী এখন সবকিছুতেই বেপরোয়া হয়ে জনগণকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে একটা গভীর ও সুদুরপ্রসারী নীল নকশা বাস্তবায়নে দ্রুততার সাথে পা ফেলছে।’

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার রহমান বীর উত্তমের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার। যে উদ্দেশ্যে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর নাম পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁর নামফলক, ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলা এবং ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বেগম জিয়াকে উৎখাত করা হয়েছে। আর এখন জিয়া শিশু পার্কের নামও মুছে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছ। এসময় তিনি এ ধরনের প্রতিহিংসাপরায়ণ উদ্যোগ থেকে সরকারকে সরে আসারও আহবান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা, বিএনপির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here