সম্রাট জুয়ার বোর্ডে একদিনে হারেন ৪৫ কোটি টাকা

0
638
রিমান্ডে আনতে পারেনি দুদক
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।

ক্যাসিনোকিং খ্যাত বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট জুয়ার বোর্ডে একদিনে ৪৫ কোটি টাকা পর্যন্ত খুইয়েছেন।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট জানান, তিনি জুয়া খেলতে যেতেন সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে ক্যাসিনোতে। সঙ্গে নিতেন লাগেজভর্তি ডলার। ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে বিমানে উঠতেন সম্রাট। তার লাগেজ চেক করা দূরের কথা কখনই তাকে দেহতল্লাশির মুখোমুখিও হতে হয়নি। ক্যাসিনোতে তিনি দু’হাতে টাকা উড়ান। কখনও হারেন, কখনও জেতেন।

এদিকে র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে নিজের জুয়ার নেশা থেকে শুরু করে ঢাকার ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের আদ্যোপান্ত সবিস্তারে খুলে বলছেন সম্রাট।

তার গডফাদার কে, কিভাবে তিনি ক্যাসিনো জগতে এলেন এবং জুয়ার টাকা কার কার পকেটে গেছে সবার নামই তিনি বলছেন। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া নামগুলোর তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে নামের তালিকা পাঠানো হচ্ছে সরকারের উচ্চপর্যায়ে।

সূত্র বলছে, ক্যাসিনো কিং সম্রাটের অর্থ-সম্পদের একটি লম্বা ফিরিস্তি পাওয়া গেছে। দুবাই, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে টাকা জমা রেখেছেন সম্রাট। তার ভাই বাদলের নামে রাজধানীর আশপাশে কয়েকটি প্লট ও ফ্ল্যাট কিনে রেখেছেন তিনি। এছাড়া ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের জনৈক নেত্রী মৌসুমির সঙ্গে সম্রাটের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মৌসুমির নামে পুলিশ প্লাজায় একাধিক দোকান কিনেছেন।

সম্রাট ও আরমানকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম রোববার বলেন, ‘আমরা সম্রাটের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। সম্রাটই ঢাকার ক্যাসিনো জগতের প্রধান নিয়ন্ত্রণকারী ছিলেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তার মাধ্যমেই প্রভাবশালী মহলে বিপুল অংকের অবৈধ অর্থের লেনদেন হয়েছে। আপনারা জানেন, যেখানেই অঢেল অর্থ সেখানেই অবধারিতভাবে অস্ত্র, মাদক ও নারী সম্পৃক্ততা চলে আসে। সম্রাটের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই ছাড়া সব তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করা সমীচীন হবে না। কারণ সম্রাটের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি এখনও বিচারাধীন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য গণমাধ্যমে এলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here