সভ্যতা ধ্বংসের বাইবেল’এ বর্ণিত আলামতের মিল খুঁজে পাচ্ছেন খ্রিস্টীয় ধর্মগুরুরা

0
559

খবর ৭১: সভ্যতা ধ্বংসের ব্যাপারে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে নানা আলামতের বর্ণনা রয়েছে। খ্রিস্টানদের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ বাইবেল’এও সভ্যতা ধ্বংসের সময় পৃথিবীতে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ইউকে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির সঙ্গে সভ্যতার শেষ সময়ের বাইবেল’এ বর্ণিত আলামতের মিল খুঁজে পাচ্ছেন খ্রিস্টীয় ধর্মগুরুরা।

খ্রিস্টীয় ওয়েবসাইট সাইনপোস্ট’এ উল্লেখিত বিষয়গুলোকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর নিয়ে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে যে সংঘাত শুরু হয়েছে তা বাইবেলে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। পবিত্র ভূমিতে ঈশ্বরের অভিশপ্ত ইহুদি জাতি আগ্রাসনের পাশাপাশি যে রক্তপাত ঘটাচ্ছে তা চরম অধর্মের পরিচয় বহন করে!

সভ্যতার শেষ সময়েও বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাইবেলে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, খোদ খ্রিস্টানদের মধ্যেই কিছু মানুষ অভিশপ্ত ইহুদি জাতির সঙ্গে হাত মিলিয়ে পবিত্র ভূমি দখল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে। যা ঈশ্বরকে রুষ্ট করবে।

অবশ্য সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় খ্রিস্টীয় ধর্মগুরুরা একমত নন যে, সেই পবিত্র ভূমি জেরুজালেম নাকি ইরানকে বোঝাচ্ছে। কেননা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ইসরায়েলী নেতা নিয়াহু ইরান এবং ফিলিস্তিন দুই পবিত্র অঞ্চলকেই সংঘাতের টার্গেট করেছেন।

তবে যে অঞ্চলই হোক, ইহুদিদের পক্ষ নিয়ে প্রভাবশালী খ্রিস্টীয় রাষ্ট্রের নেতা ঈশ্বরকে ক্রুদ্ধ করে মহা দুর্যোগ নিয়ে আসছেন বলে ধর্মগুরুরা মনে করছেন। এ প্রসঙ্গে হিব্রু বাইবেল ইজেকিয়ালের ৩৮-৩৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, চরম অবাধ্যতার জন্য দীর্ঘদিন পর ঈশ্বরের অনুসারীরা অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার ডাক পাবে।

পবিত্র ভূমিকে রক্ষার জন্য ঈশ্বরের প্রকৃত অনুসারীরা সেখানে একযোগে ধাবিত হবে। একই সঙ্গে ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টানগণও এবং একাধিক রাষ্ট্র ঈশ্বরের অবাধ্যতার ধরন দেখে অভিশাপ থেকে বাঁচতে একত্রিত হবে। যারা ইহুদি ও ভণ্ড খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।

খ্রিস্টীয় ধর্মগুরুরা লক্ষ্য করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মিত্রতার ভবিষ্যত বুঝতে পেরে এরই মধ্যে ইউরোপের দেশগুলো প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। উদাহরণ হিসেবে তারা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোনের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, ইসরায়েল ও মার্কিনী নেতার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে ফ্রান্স নেতা ইউরোপের ১০টি দেশকে নিয়ে বিশেষ প্রতিরক্ষা জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। ধর্মগুরুদের দাবি, বিষয়টি সম্পর্কে বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্টের বুক অব রেভেলেশনের ১৭ ধারায় স্পষ্টই বলা হয়েছে।

সেখানে উল্লেখ রয়েছে, চরম অধর্মের প্রতিবাদ এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ১০টি রাজ্য একজোট হয়ে অবাধ্যদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। শত্রুদের পবিত্র ভূমি থেকে বিতারিত করতে তাদের সেনাবাহিনী একসময় মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইসরায়েলের দিকে অগ্রসর হবে।

এই সময়টাতে বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পোপ’এর মতো ধর্মগুরুরা আহ্বান জানালেও শত্রুরা তাতে কান দেবে না। তাই ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে শান্তি রক্ষাকারীদের শক্তি প্রদর্শন বাধ্যতামূলক হয়ে পড়বে। এমনকি বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্টের গোস্পাল অফ ম্যাথিউস’এর ৫:৯’এ বলা হয়েছে, শত্রুদের শক্তি ও কুটবুদ্ধি বেশি হলেও প্রতিবাদকারীদের প্রতি ঈশ্বরের আশির্বাদ থাকবে।

বলা হয়েছে, শান্তি স্থাপনকারীরাই বিজয়ী হবে এবং মানবতার শক্রুরা ধ্বংস হবে। ফলে মানব জাতির একাংশ যখন কোন পক্ষে যাবে বলে বিচলিত হবে তখন তারা যেন শান্তিরক্ষাকারীদের পথই বেছে নেয়। ওয়েবসাইটটিতে বাইবেলের বাণী বিশ্লেষণ করে আরও বলা হয়েছে, সভ্যতার শেষ অধ্যায় গত বছরই শুরু হয়ে গেছে। যা শেষ হবে ২০২৫ সালে!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here