খবর৭১ঃ খুনি, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে মাঠে থাকবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের উদ্যোগে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘খুনি, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যে আগামী ২৬ এপ্রিল মতিঝিলে একটি সমাবেশ করবো। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে।’
তিনি বলেন, ‘হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নেতারা দলের অনেক ক্ষতি করছে। এরা বিএনপি-জামায়াতের প্রেতাত্মা। তা না হলে একজন হত্যাকারীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতে পারে? এমন দুই একজনের জন্য আমাদের সকল অর্জন নষ্ট হতে দিতে পারি না।’
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর আরেক সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন না করে, জনগনের সাথে প্রতারণা করে ইতিহাস অস্বীকার করতে চায়। যারা জাতীয় দিবসগুলো পালন করে না তারা কি করে স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে?’
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে দলের নেতাদের দেওয়া বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাঁর চিকিৎসা কীভাবে হবে তা নির্ধারণ করবে ডাক্তাররা। দলের নেতারা কেন খালেদা চিকিৎসার ব্যাপারে জনগনকে বিভ্রান্ত করছেন।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘যারা ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর দিবস পালন করে না তারা স্বাধীনতার পক্ষের বা স্বাধীনতার বিশ্বাস করে এটা আমার বিশ্বাস হয় না। হঠাৎ করে স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়নি। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে এই প্রেক্ষাপট বঙ্গবন্ধু তৈরি করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কারফিউ দিয়ে দেশ চালিয়েছে এটার মধ্যে বিএনপি ও বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবীরা গণতন্ত্র খুজে পায়। আসলে বিএনপি নামের এই দলটি তৈরি করেছিলো পাকিস্তান। এই দলের লক্ষ্য বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। এই বিষফোঁড়া দলটি যত দিন থাকবে তত দিন দেশের উন্নয়নের বাধা থাকবে।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ( জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ড. শাহাদাত হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।