খবর ৭১:টাঙ্গাইলের সখীপুরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৫ ছাত্রীকে বেত্রাঘাত করে জখম করার ঘটনায় এক শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে স্কুলের পরিচালনা পরিষদ, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে এক বৈঠকে শাহআলম নামে ওই শিক্ষককে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের শাহীন স্কুল বড়চওনা শাখায় গত সোমবার সকাল ৮টার দিকে পাঁচ মিনিট দেরি করে ৩৫ ছাত্রী তাদের ক্লাসে উপস্থিত হয়। দশম শ্রেণির ওই ক্লাসে ৪৮জন ছাত্রী থাকলেও ৩৫ ছাত্রীর হোমওয়ার্ক খাতা জমা না দেয়ায় ও বিলম্বে আসার অভিযোগ এনে সহকারী শিক্ষক শাহআলম ওই ছাত্রীদের বেদম বেত্রাঘাত করে জখম করেন।
এ নিয়ে ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে বুধবার দুপুরে স্কুলের পরিচালনা পরিষদ, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে এক জরুরি বৈঠকে বসা হয়। ওই বৈঠকে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহআলমকে এক মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বেত্রাঘাতের শিকার কয়েকজন ছাত্রীদের বাবা মতিউর রহমান, আবুসাঈদ মিয়া, তুলা মিয়া, নজর আলী ও কলিম উদ্দিন জানান- ‘এ ধরনের ঘটনায় তারা হতভম্ব। ছাত্রীদের তিন দিন আগের বেত্রাঘাতের জখম এখনও রয়েছে। তাদের চিকিৎসা করানো হচ্ছে।’
এদিকে কোনো কোনো অভিভাবক মেয়েদের ওই স্কুলে না পড়ানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। নাম প্রকাশে কয়েকজন অভিভাবক বলেন, ওই শিক্ষকের কাছে ছাত্রীরা প্রাইভেট না পড়ায় ছাত্রীদের প্রতি ক্ষোভ ছিল শিক্ষক শাহআলমের।
এ ব্যাপারে বেত্রাঘাতের শিকার ছাত্রীরা বলে, ‘স্যার ক্লাসে প্রবেশ করা মাত্রই আমাদের মারপিট শুরু করে। দুই হাতের বাহুতে চরমভাবে বেত্রাঘাত করায় জখম হয়েছে। বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি আমরা আমাদের অভিভাবকদের জানাই।’
এ প্রসঙ্গে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক জালাল উদ্দিন ও হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষককে এক মাসের জন্য সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহআলমের বক্তব্য জানতে বুধবার দুপুরে তার মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তিনি টাঙ্গাইলে আছেন জানিয়ে এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন।
খবর ৭১/ এস: