শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

0
304

খবর৭১ঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ-সংরক্ষণ ও সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, মালিকপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি।’

বুধবার (১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি এক বাণীতে এ কথা বলেন। খবর বাসসের।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মহান মে দিবসের ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণে দেশের আপামর মেহনতি ও শ্রমজীবী মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

আবদুল হামিদ মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘‘মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, উন্নয়নের শপথ করি’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।’’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষই হচ্ছে দেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যেই নিহিত রয়েছে দেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা ‘রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১’ বাস্তবায়নে শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’

তিনি বলেন, ‘এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে বিপুল সংখ্যক শ্রমজীবী মানুষ। দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এসব শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরি প্রদান, দক্ষতাবৃদ্ধি, সুন্দর ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ, পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ সার্বিক কল্যাণ সাধন খুবই জরুরি।’

আবদুল হামিদ বলেন, ‘বর্তমান শ্রমিকবান্ধব সরকার এ লক্ষ্যে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ, শিশুশ্রম বন্ধ, নারী শ্রমিক ও কর্মচারীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় বৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তাসহ শ্রমিকের স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মে দিবস কেবল অধিকার আদায়ের দিন নয়, নিজেদের আত্মবিশ্লেষণ ও সম্মিলিতভাবে দেশ গড়ার অঙ্গীকারও বটে। শ্রমিক-মালিক পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক শ্রমক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা রক্ষা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে বলেও রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।’

আবদুল হামিদ মহান মে দিবস-২০১৯ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here