শেরপুরে সাব-রেজিষ্টার না থাকায় চরম দূর্ভোগে জনসাধরাণ

0
295

 

শেরপুর থেকে আবু হানিফ :

শেরপুর জেলা সদরে সাব-রেজিষ্টার না থাকায় চরম দূর্ভোগের মধ্যে পড়েছে জনসাধরাণ। নানাভাবে শিকার হচ্ছে হয়রানীর।

গত দুইমাস আগে শেরপুর জেলা সদরের সাব-রেজিষ্ট্রার চলে যায়। এর পর থেকেই রহস্যজনক কারণে এ উপজেলায় সাব রেজিষ্ট্রার আসতে চাচ্ছেনা। অভিযোগ রয়েছে, এখানকার কয়েকটি সমিতি ও প্রভাবশালী মহলের নানামুখী চাপ থাকায় এখানে সাব-রেজিষ্টার আসতে চাচ্ছেননা। একথা সবাই মুখে বললেও প্রভাবশালীদের ভয়ে ক্যামেরার সামনে কেউ কথা বলতে চাচ্ছেননা। ফলে এ সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে সময়মতো দলিল রেজিষ্ট্রি হচ্ছে না। যে কারণে অনেকেই জমি ক্রয় করেও দিনের পর দিন ঘুরেও জমি দলিল করতে পারছেন না। এতে অনেকের মধ্যে দেখা দিচ্ছে নানা দ্বন্দ-কলহ। ফলে তারা পড়েছে বেকায়দায়।

অনেকে অসুস্থ হয়েও জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারছেননা। টাকার অভবে করতে পারছে না চিকিৎসা। জমির নকল, তালসি প্রদান করতে পারছে না। দিনের পর দিন ঘুরেও পাচ্ছে না নকল। এতে তারা এখন হয়রান। দলিল লেখকরাও জমি দলিল রেজিষ্ট্রি না করতে পেরে সমস্যার মধ্যে আছে। অন্য উপজেলা থেকে সাব-রেজিষ্ট্রার সপ্তাহে ৩দিন দেয়ার কথা থাকলেও তারাও আসছেননা। এ বিষয়ে জেলা রেজিষ্ট্রারের সাথে কথা হলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, অন্য উপজেলা থেকে নিয়মিতই সাব-রেজিষ্ট্রারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবচিত্র উল্টো। অন্যউপজেলার সাব রেজিষ্ট্রারগনও বসতে চাননা শেরপুরে। অভিযোগ আছে, জেরা সদরে সাব-রেজিষ্ট্রারগণ নানাভাবে তদবির করে আসে। অথচ শেরপুর জেরা সদরে আসেননা কেন। এ বিষয়টিও খতিয়ে দেখার জন্য ভুক্তভোগী জনগণ দাবী করেছেন। এ বিষয়ে আব্দুর রহিম নামে এক জমি ক্রেতা জানান, আমি জমি ক্রয় করেছি। দুটি নকল উঠাতে হয়। এখন পর্যন্ত নকলদুটি উঠাতে পারছি না। অফিসার না থাকায় নকল পাচ্ছিনা। তাই আমি বেশ চিন্তিত আছি। রাজাবাড়ী মহল্লার আবু হানিফ জানান, তিনি একটি জমির নকল উঠানোর জন্য তালাসি দিয়েছেন দীর্ঘ একমাস ধরে। কিন্তু অফিসার না থাকায় আজ পর্যন্ত কোন তালাসি করতে পারে নাই। তাই আমার জমির নকলও পাচ্ছিনা। জমি খারিজ করতে পারছিনা। জমি বিক্রি ঋণ মেটাবো। তাও করতে পারছিনা। দলিল লেখক আব্দুর রফিক জানান, অফিসার না থাকায় আমরা খুব কষ্টে আছি। অফিসে কাজ না থাকায় আমরা বেকার বসে আছি। পার্টি আসছে আর আমাদের সাথে ঝগড়া করে চলে যাচ্ছে। এতে আমাদের মুসকিল হয়ে গেছে। আমরা চাই দ্রুত এখানে একজন সাব রেজিষ্ট্রার দেয়া হউক। একই দাবী জানালেন শেরপুর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুল মতিন। তিনি বলেন, জনগনের দূর্ভোগ কমাতে দ্রুত একজন অফিসার দেয়া প্রয়োজন।

শেরপুরের জেলা প্রশাসক ড: মল্লিক আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা নিয়োগ দেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখেছি। কিন্তু এখনও সাব রেজিষ্ট্রার পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় জনগনের দাবী  দ্রুত সাব রেজিষ্ট্রিারের ব্যবস্থা করা হউক। দুর করা হউক সমস্যা।

খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here