শেরপুরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর বিরুদ্ধে দেয়া হচ্ছে একের পর এক মিথ্যা মামলা

0
248

আবু হানিফ, শেরপুর প্রতিনিধি :
শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: হযরত আলীর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। এসব মিথ্যা মামলায় তিনি বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন। তিনি মামলায় জামিন পেলেও নতুন নতুন মামলায় জড়িয়ে সোন এরেষ্ট দেখিয়ে আবার জেল হাজতে নেয়া হচ্ছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে যাতে তিনি নির্বাচন করতে না পারেন এ জন্য তার বিরুদ্ধে হয়রানী মূলক মামলা দেয়া হচ্ছে। একই সাথে শেরপুরে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গনতান্ত্রিক আন্দোলন স্তব্ধ করতেই তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা। জানা গেছে তার বিুরদ্ধে ১২টি মামলা দেয়া হয়েছে। আরো নতুন মামলা দেয়া হতে পারে বলে দলটির নেতারা আশঙ্কা করছেন।
দলীয় সূত্রে জানাগেছে, ২০১৭ সালের দায়ের কৃত হত্যা প্রচেষ্টার একটি মিথ্যা মামলায় শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: হযরত আলীকে জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর পর গত ৫ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে জামিন পেলেও আবারো জেল গেইট থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার ঘটনায় দায়েরকৃত আরেক সাজানো ও মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ মামলায় গত ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে জামিন চাইলেও আদালত সরকারি কৌশলীর বিরোধীতায় এবং পুলিশের বিরোধীতার কারণে তার জামিন হয়নি। ফলে ডায়াবেটিকসহ নানা রোগে আক্রান্ত বিএনপির নেতা হযরত আলী অনেক কষ্টেই দিন কাটাচ্ছে জেলা কারাগারে।
আদালত সূত্রে জানাযায়, ২০১৭ সালের ৪ সেপ্টম্বর শেরপুর সদর উপজেলার ঘুঘুরাকান্দিতে স্থানীয় বিএনপি ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: হযরত আলী বক্তব্যদান কালে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কটুক্তিমূলক বক্তব্য রাখেন অভিযোগ করে মিটিংএ হামলা করে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় দু পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৮জন কর্মী আহত হয়। পরে এ ঘটনায় জনাব হযরত আলীকে প্রধান আসামী করে বেতমারী ঘুঘুরা কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম ২৯জন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় হত্যা প্রচেষ্টা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ তদন্তশেষে গত ১২ জুন-২০১৮ তারিখে ২২ জন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অভিযোগ পত্র আদালতে দায়ের করেন। এ ঘটনায় ২৭ আগষ্ট দুপুরে স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ৫ সেপ্টেম্বর আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত জনাব হযরত আলীকে জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু ওইদিন সন্ধায় কারা ফটক থেকে আবারো গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যায়, জনাব হযরত আলীকে বাগরাকশা থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার ঘটনায় একটি মামলায় জড়িত থাকায় তাকে ওই মামলায় সোন এরেষ্ট দেখানো হয়। এভাবেই এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ১২টি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here