শেরপুর থেকে আবু হানিফ :
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে কৃষক ইদ্রিস আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি যোগানিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সাথে তার স্বীকারোক্তিতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি পিস্তল ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে পুলিশ।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: বিল্লাল হোসেন আজ ৪ মে বিকেলে জেলা পুলিশের কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফিং করে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, ৩ মে রাত দুইটার দিকে পলাতক থাকাবস্থায় সিলেটের গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর থেকে মামলা প্রধান আসামী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতার করে নালিতাবাড়ী থানায় নিয়ে আসা হয় এবং তার স্বিকারোক্তির মাধ্যমে গেল রাতে তার তৃতীয় স্ত্রীর বাড়ীর আঙ্গিনার একটি নারিকেল গাছের তলার নিচ থেকে একটি বিদেশী ৭.৬২ এমএম বুরের পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
অস্ত্র উদ্ধারের পর ইউপি চেয়ারম্যান হবি, তার ৩য় স্ত্রী ও পুত্র শান্তসহ ৩জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেছে পুলিশ। পুলিশ তাকে হত্যা ও অস্ত্র মামলায় জিহ্ঘঞাসাবাদের জন্য ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে আদালতে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চেয়ারম্যান হবিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডের ব্যাপারে পরবর্তীতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, ২৫ এপ্রিল যোগানিয়া কুত্তামারা গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান হাবি’র আতœীয় মাজব আলীর বাড়ির নিকটে নিজের জমিতে কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে পাকা ধান কাটতে যায় একই এলাকার সোহরাব আলী। এসময় আধিপত্ত বিস্তার ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ নানা কারণে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চেয়ারম্যানের পূর্ব নির্দেশ অনুযায়ী মাজব আলী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে হামলা করে ও মারধর করে। ফলে ধান কাটা বিরত রেখে সোহরাব আলী বাড়ি চলে আসে। পরে পুনরায় লোকজন নিয়ে েেত গিয়ে ধান কেটে বাড়ি আসে সোহরাব। খবর পেয়ে বেলা দেড়টার দিকে চেয়ারম্যান হবি, তার ছেলে শান্ত ও দুই স্ত্রীসহ দলবল নিয়ে সোহরাব আলীদের বাড়িতে হামলা করে। একপর্যায়ে আত্মরার্থে সোহরাব আলী এবং তার আত্মীয়-স্বজন প্রতিরোধে এগিয়ে আসে। এসময় চেয়ারম্যান হবি ও তার ছেলে শান্ত তাদের সাথে রাখা অবৈধ পিস্তল বের করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে সোহরাব আলীর চাচাতো ভাই কৃষক ইদ্রিস আলী (২৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।