খবর৭১ঃ দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ- ডাকসু’র কার্যক্রম শুরু হল আজ (শনিবার)। কার্যনির্বাহী পর্ষদের প্রথম সভার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব বুঝে নিলেন নবনির্বাচিত ভিপি-জিএসসহ বিভিন্ন পদের ২৫ জন প্রতিনিধি। ছাত্র অধিকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন তারা।
এদিকে, ডাকসু নির্বাচন বাতিল চেয়ে ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।
কাটলো প্রায় ৩ দশকের অচলায়তন। দীর্ঘ ২৮ বছরের প্রতীক্ষার পর শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে সচল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু।
শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ডাকসু’র কার্যনির্বাহী সভায় যোগদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে নিলেন ভিপি নুরুল হক নুর, জিএস গোলাম রাব্বানী, এজিএস সাদ্দাম হোসেনসহ ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো নতুন ডাকসুর ৩৬৫ দিনের মেয়াদ।
নতুন ডাকসুর অভিষেক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণ করে বিশেষ রিকশা চালু, রিকশা ও সাইকেলের জন্য আলাদা লেন চালুর প্রস্তাব গৃহীত হয়। আলোচনা হয় অছাত্র ও বহিরাগতদের হল ত্যাগ নিয়ে।
ভিপি নুর বলেন, ‘গণরুম, গেস্টরুম বন্ধ করা নয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় সিট নয়, মেধা ও প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে হলে সিট দেওয়া। অছাত্র ও বহিরাগতদের হল থেকে বের করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় ও ইশতেহার বাস্তবায়নে নতুন ডাকসু কাজ করবে বলে প্রত্যাশা সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
তবে ডাকসুর নির্বাচন বাতিল চেয়ে আবারো ভোটের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো ব্যাজ ধারণ করে মৌন মিছিল করেছে ছাত্রদল। ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি পালন করে কয়েকটি বাম ছাত্র সংগঠন।
ডাকসুর প্রথম কার্যনির্বাহী সভা শেষে উপাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে ধানমণ্ডিতে জাতির জনকের প্রতিকৃতি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মৃতি চিরন্তনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভিপি-জিএসসহ নবনির্বাচিত সব সদস্য।
খবর৭১/এসঃ