শুধু আইনি লড়াইয়ে খালেদার মুক্তি অসম্ভব: মওদুদ

0
314

খবর৭১: আটকের পর একাধিকবার দলীয় প্রধানের মুক্তি নিয়ে বেশ কয়েকটি দিন তারিখ বলে দিলেও মওদুদ আহমদ জোর দিচ্ছেন রাজপথের লড়াইয়ে। তিনি বলেন, ‘রাজপথে আন্দোলন ছাড়া শুধু আইনি লড়াইয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়।’

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে এক আলোচনায় এ কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য।

দুর্নীতির মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তার মুক্তির জন্য দলের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। পাশাপাশি জামিনের জন্য শুরু থেকেই চেষ্টা করে আসছেন তার আইনজীবীরা। মওদুদ আহমদও খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলে আছেন।

খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর একাধিকবার মওদুদ আহমদ দিন তারিখ উল্লেখ করে তিনি মুক্তি পাবেন বলে বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত মুক্তি পাননি খালেদা জিয়া। কবে নাগাদ মুক্তি পাবেন তা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

মওদুদ বলেন, ‘মাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ইনশাল্লাহ আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন। যতই কলা-কৌশল করা হোক না কেন।’

‘এই যে বললাম নিম্ন আদালত, নিম্ন আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, বেঞ্চ ক্লার্করা, কেরানিরা, স্টাফরা- এরা তো সব সরকারের কর্মচারী। সুতরাং আমরা আইনি লড়াই করব, আমাদের আবার রাজপথেও থাকতে হবে। শুধু আইনি লড়াই দিয়ে এই যুদ্ধে জয়লাভ করার সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি না।’

বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের প্রসঙ্গ টেনে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মাজদার হোসেন মামলার মাধ্যমে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণে নিশ্চিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট গত ৮/১০ বছর যাবত কাজ করে আসছেন। কিন্তু এসকে সিনহা (সাবেক প্রধান বিচারপতি) চলে যাওয়ার পরে নিম্ন আদালতের শৃঙ্খলা বিধির গ্যাজেট হয়ে যাওয়ার পরে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ের কোনো কার্যকারিতা থাকলো না।’

‘কারণ নিম্ন আদালত এখন সরকারের অধীনে চলে গেছে। তাহলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকে কীভাবে?’।

বর্তমান সরকারের শাসনামলকে ভয়ংকর দাবি করেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমাদের এক বিরাট সংকটকাল চলছে। শুধু বিএনপির জন্য নয়, জাতীয়তাবাদী শক্তিসমূহের জন্য নয়, সারা জাতির জন্য।’

‘আমার জীবনে এমন সংকট দেখি নাই। অনেক আন্দোলন দেখেছি, অনেক বড় বড় সংকট দেখেছি, মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে সংকটসময় দেখেছি, কিন্তু এরকম অবস্থা যা বর্ণনা করা যায় না।’

‘বাংলাদেশের এখন কোনো সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায় না। আমি মনে করি, সেই ৭৫ সালে সাংবিধানিক একদলীয় শাসনের চাইতে বর্তমানে যে একদলীয় শাসন চলছে সেটা আরো অনেক নিম্নমানের, নিচুস্তরের, অমানবিক এবং ইংরেজিতে বলে ইললিবারেল এবং ইনটলারেন্ট একটা সংস্কৃতি ও সমাজ আমরা ডেভেলপ করেছি।’

‘এর চাইতে নেতিবাচক দৃশ্য আমাদের সামনে আসে না। সরকারি খরচ ও সুবিধা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একদলীয় নির্বাচনী প্রচারণা করছেন।’

আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, কেন্দ্রীয় নেতা শাহ আবু জাফর, মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।
খবর৭১/এস;

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here