শীতে শিশুর যত্নে গোসল

0
293

খবর ৭১:অনেক মায়েরা মনে করেন শীতে প্রতিদিন শিশুকে গোসল করালে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। কারণ শীত এলেই কমবেশি সর্দি-কাশি, জ্বরের সমস্যায় বেশিরভাগ শিশুরা ভুগে থাকে ।কিন্তু এ ধারণা মোটেই ঠিক না।

চিকিৎসকরা বলে থাকেন শীতে শিশুকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন গোসল করানো জরুরি।শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার কারণে শিশুদের ত্বকও শুষ্ক হয়ে যায়।এ সময় শরীরেও পানির প্রয়োজন হয়।তাই শিশুকে গোসল না করালে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। নিয়মিত গোসল না করালে শিশুদের ত্বকে সমস্যা হতে পারে। এছাড়া ঘাম, ক্লেদ জমেও ঠাণ্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে। তাই শিশুকে সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিন গোসল করাতে হবে।

আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শিশুর ঠাণ্ডা লাগলে, বুকে সর্দি জমে থাকলে বা নাক দিয়ে পড়লে অনেক সময় চিকিৎসকরা শিশুকে গোসল না করানোর কথা বলে থাকেন। এক্ষেত্রে ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে চলুন।

.তবে গোসলের পরে অবশ্যই যেসব সাবধনতা মেনে চলতে হবে।

কুসুম গরম পানিতে গোসল
শিশুকে কখনোই ঠাণ্ডা বা অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল করানো ঠিক না।সবচেয়ে ভালো কুসুম গরম পানিতে গোসল করানো।গোসলের পরই তোয়ালে দিয়ে শিশুকে মুড়ে নিন। ভালো করে মাথা, কান মুছে দেবেন।

খুব বেশি সময় গোসল নয়
খুব বেশি সময় ধরে নবজাতককে পানিতে রাখা ঠিক নয়। দুপুরের দিকে অর্থাৎ যখন রোদ বেশ ভালোভাবে থাকে, সেই সময়টাতে নবজাতককে গোসল করানো ভালো। পূর্ণ গর্ভকাল পেরোনো শিশুদের জন্মের ৩ দিন পর থেকে ১৫ দিন বয়স পর্যন্ত সপ্তাহে একদিন গোসল করানো যেতে পারে। এরপর থেকে একদিন পর পর গোসল করানো যায়।

গরম জামা, কাপড়
গোসলের পরে শিশুর গা মুছিয়ে কিছু সময় রোদে রেখে গায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে দিন।পরে গরম জামা, কাপড়, মোজা পরিয়ে দিন।

গ্লিসারিনযুক্ত সাবান
শিশুকে অবশ্যই গ্লিসারিনযুক্ত সাবান দিয়ে গোসল করাতে হবে। এরপর সারা শরীরে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে দিন। যাতে ত্বক শুষ্ক না হয়।

চুল শ্যাম্পু
শিশুকে গোসল করানোর সময় শ্যাম্পু করানো যেতে পারে। শ্যাম্পু করার সময় বেশি সময় না নিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, যেন খুব বেশি সময় ধরে শিশুকে পানির সংস্পর্শে রাখা না হয়। নবজাতকের চুল কাটানোর জন্য ব্যতিব্যস্ত হওয়ার কিছু নেই। দেড় থেকে দুই মাস বয়সের আগে শিশুর চুল না কাটালে ভালো।

ময়েশ্চারাইজ
শীতে শিশুর ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজ ব্যবহার আবশ্যক। গোসল করানোর পর কোমল টাওয়েল দিয়ে শরীর মোছার পর অলিভ অয়েল ও ভিটামিন-ইসমৃদ্ধ তেল গায়ে মাখতে পারেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে- লাগানো তেল বা লোশন যেন সুগন্ধি, অ্যালকোহল ও অন্যান্য কেমিক্যালমুক্ত হয়।

ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হলে
ঠাণ্ডা লেগে অনেক সময় শিশুর নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ‘নরসল নসল ড্রপ’ দিনে দুবার দেয়া যেতে পারে।

খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here