শীতে বিপর্যস্ত সিরাজগঞ্জের জনজীবন

0
273

 

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জে আবারো হাড় কাপাঁনো শীত জেঁকে বসেছে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ঘন-কুয়াশার প্রভাব বৃদ্ধির ফলে ঢাকা পড়েছে সিরাজগঞ্জ। সকাল ১০টার দিকেও সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের মানুষ। তীব্র শীতে খেটে খাওয়া মানুষের পাশাপাশি বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা শীতে জড়োসড়ো হয়ে পড়েছেন। সদর উপজেলার কাওয়াকোলা, মেছড়া, কাজিপুর উপজেলার মাইজবাড়ী, শুভগাছা, গান্ধাইল, নাটুয়ারপাড়া, খাসরাজবাড়ী, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, মনসুরনগর, বেলকুচি ও চৌহালীর চরাঞ্চল এবং চলনবিলাঞ্চলের তাড়াশ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুরের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছেন। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। অপরদিকে, শীতের তীব্রতার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে শীতজনিত রোগ। বৃদ্ধ ও শিশুরা এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এদিকে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতেও মানুষের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। সরকারিভাবে যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। শীতের তীব্রতায় ব্যক্তি উদ্যোগ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন হতদরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ শুরু করেছে। দিনমজুর আলী আব্বাস বলেন, বাবা আমি দিন মজুরি করে সংসার চালাই। গত দুই দিনে সূর্যের মুখ দেখলেও আজ আবার কনকনে শীত পড়েছে। এই শীতের কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। হকার্স মার্কেটে আসা ক্রেতা মানিক মিয়া জানান, আবারো হাড় কাপাঁনো শীত শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকে ঘন-কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এজন্য গরম কাপড় কিনতে এসেছি। হকার্স মার্কেটের দোকানদার আব্দুস সালাম বলেন, এক সপ্তাহ ধরে বিক্রির ধুম পড়েছে। তাপমাত্রা বড়েলেও কমেনি শীত। শীতের চাপ পড়ার কারণে গরম কাপড়ের চাহিদাও দ্বিগুণ বেড়েছে। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল আকরামুজ্জামান জানান, শীতজনিত কারণে নিউমোনিয়া ও সর্দি-ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি। এর মধ্যে যাদের অবস্থা বেশি খারাপ তাদেরকে ভর্তি করা হচ্ছে। অন্যদের আউটডোরে ব্যবস্থাপত্র দেয়া হচ্ছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, জেলা এ পর্যন্ত ৫৬ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরো ১৭ হাজার কম্বল চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here