জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ৫বছরের শিশু ইয়ামিন মিয়ার ডান হাতের ৩টি আঙ্গুল কেটে দিয়েছে যুবলীগ নেতা ও ২৮নং পিআইসির সভাপতি। তিনি সুলেমানপুর গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে সাবেক যুবলীগনেতা,মহালিয়া বাধেঁর পিআইসি সভাপতি (নং ২৮) অদুদ মিয়া। আহত শিশু উপজেলা দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের সুলেমানপুর গ্রামের শাহানুর মিয়ার ছেলে ও সুলেমানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীর ছাত্র। এঘটনার জানাজানি হলে জেলা ও উপজেলায় ব্যাপক তুলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গুরুত্বর আহত ইয়ামিন মিয়া সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,গত শনিবার বিকালে ইয়ামিন মিয়া নিজেরদের গুরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য ঘাস কাটতে মহালিয়া হাওরের ময়না খালি বাধেঁর উপর দিয়ে হেটেঁ যাচ্ছিল হাওরে। এমন সময় হঠ্যাৎ করেই সে বাধেঁর উপর থেকে গড়িয়ে বাঁেধর নিছে পড়ে যায়। এতে নির্মানাধীন বাঁেধর ড্রেসিং করা কাজে সামন্য ক্ষতি হয়। এসময় যুবলীগ নেতা ও ঐ বাঁেধর পিআইসি সভাপতি অদুদ মিয়া বিষয়টি দেখতে পেয়ে ইয়ামিন মিয়ার কাছে গিয়ে মারধর করে এক প্রর্যায়ে হাতে থাকা ঘাস কাটার কাচিঁ কেড়ে নিয়ে হাতের ৩টি আঙ্গুল কেটে দেয়। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে অদুদ মিয়া চলে যায়। পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ইয়ামিন মিয়াকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। সন্ধ্যার পরে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে তাকে পাঠানো হয়। এবিষয়ে যুবলীগ নেতা ও ২৮নং পিআইসি অদুদ মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি ইয়ামিন মিয়াকে আঘাত করে নি। বাধেঁর উপর দুষ্টামি করেছিল শাসন করেছি। হাতের আঙ্গুল অন্য কোন ভাবে কেটেছে। ইয়ামিন মিয়ার পিতা শাহানুর জানান,বাঁেধ ক্ষতি হলে আমার কাছে বিচার দিত। আর এমন কি ক্ষতি হয়েছে থাকে এভাবে আঘাত করতে হবে। আমার ছেলের হাতের ৩টি আঙ্গুল কেটে দিয়েছে অদুদ। আমার ছেলে এখন লেখা পড়া করবে কি করে। আমি অদুদের বিরোদ্ধে মামলা করব। এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নন্দন কান্তি ধর জানান,এখন পর্যন্ত কেউ এই বিষয়টি নিয়ে কোন অভিযোগ করে নি। কিন্তু ঘটনার শুনার পর আমি এসপি স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ঐ পিআইসি প্রলাতক থাকায় থাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। গ্রেফতার করার চেষ্টা করছি।