শিল্পী আসিফ আকবরের জামিন মঞ্জুর

0
533

খবর৭১: তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা মহানগর হাকিম কেশব চন্দ্র রায় ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

আসিফের আইনজীবী নুসরাত জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ জুন দিবাগত রাত দেড়টায় তেজগাঁওয়ের এফডিসি এলাকায় নিজ স্টুডিও থেকে আসিফ আকবরকে গ্রেফতার করে সিআইডির একটি টিম।

পরে সিআইডি জানায়, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তেজগাঁও থানায় সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিনের করা একটি মামলায় আসিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শফিক তুহিন মামলার এজাহারে অভিযোগ করেছেন, গত ১ জুন রাত ৯টার দিকে চ্যানেল ২৪-এর সার্চলাইট নামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ আকবর অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীর ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন।

পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল (প্রা.) লিমিটেড কনট্যান্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লিমিটেড গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লিমিটেড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রিজি কনট্যান্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে।

এজাহারে তিনি আরও উল্লেখ করেন, এ ঘটনা জানার পর তিনি গত ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির এ ঘটনা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। তার ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন।

পরের দিন রাত ৯টা ৫৯ মিনিটে আসিফ আকবর তার প্রায় ৩২ লাখ লাইকার সমৃদ্ধ ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। ৫৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড লাইভ ভিডিওর ২২ মিনিট থেকে তার বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন। ভিডিওতে আসিফ আকবর তাকে (শফিক তুহিন) শায়েস্তা করবেন এ কথা বলার পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, তাকে যেখানেই পাবেন সেখানেই প্রতিহত করবেন।

এ নির্দেশনা পেয়ে আসিফ আকবরের ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে হত্যার হুমকি দেন। আসিফ আকবরের এ বক্তব্য লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উসকানি দিয়েছেন। এতে তার (শফিক তুহিন) মানহানি হয়েছে বলে দাবি করেন।

এ বিষয়টি সংগীতাঙ্গনের সুপরিচিত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার প্রীতম আহমেদসহ অনেকেই জানেন বলে এজাহারে শফিক তুহিন উল্লেখ করেছেন।

এদিকে গ্রেফতারের পর বুধবার আদালতে হাজির করা হলে আসিফ বলেন, ২০০৮ সালে একটি চুক্তি হয়েছিল। এর পর ২০১৪ সালে নতুন আইন হওয়ায় আগের চুক্তি মোতাবেক কেউ-ই লাভবান হয়নি। আমার বিরুদ্ধে যারা মামলা করেছেন, তারাই আমার আগে ফেসবুকে কমেন্ট (কটূক্তি) করেছে। তারাই আমার মানহানি করেছে। কিন্তু আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করিনি। গত তিন বছর ধরে তারা এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করছে। বিষয়টি নিয়ে দুবার মোহাম্মদপুর থানায় গিয়েছিলাম।

তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে গ্রামীণফোন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হই। এ অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। ফেসবুকে আমি কোনো হুমকি দিইনি। আমার ভক্তরা দিতে পারেন।

এদিকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারার এক শিল্পীর করা মামলায় আরেক শিল্পী আসিফের গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে সাধারণ মানুষ বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here