খবর৭১: ভারত-শাসিত কাশ্মীরের শ্রীনগরজুড়ে শিক্ষার্থী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। সম্প্রতি ওই অঞ্চলে ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে স্বাধীনতাকামীসহ ২০ সাধারণ মানুষ নিহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ শুরু করে কাশ্মীরের মানুষ।
বিক্ষোভ দমাতে টিয়ার গ্যাস ছুড়ছে পুলিশ। এর আগে রবিবার শোপিয়ান গ্রামে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে চার সাধারণ মানুষ, ১৩ স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা ও তিন ভারতীয় সেনা নিহত হয়।
ওই ঘটনার পর থেকেই বন্ধ ছিল স্থানীয় স্কুল কলেজ। বৃহস্পতিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুললে বেমিনা ডিগ্রি কলেজ, অমর সিং কলেজ ও উইমেন্স কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এসে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে।
পুলিশ তাদের দিকে পেলেট, টিয়ার গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারীরা এ সময় পাথর ছুড়ে ও ভারতবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।
১ এপ্রিল ভারতীয় বাহিনীর হাতে কাশ্মীরের কয়েকজন মানুষ নিহত হওয়ার পর সপ্তাহব্যাপী গণবিক্ষোভ চলে। এতে তিন ডজনের বেশি মানুষ আহত হয়।
রবিবার নিহত যোদ্ধাদের সবাই দক্ষিণ কাশ্মীরের স্থানীয় বাসিন্দা। ওই ঘটনার পর দুইদিনের অবরোধ দেয় স্বাধীনতাকামীরা। এতে দোকানপাট, স্কুল-কলেজ সব বন্ধ হয়ে যায়।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর অঞ্চল ১৯৪৭ সাল থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদের বিষয় হয়ে আছে। সেখানে পাঁচ লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন করে রেখেছে ভারতীয় প্রশাসন।
এ নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। কাশ্মীরিরা চায়, শাসন নিয়ে একটি গণভোট হোক। এতে তারা নিজেদের অবস্থান জানাবে।
খবর৭১/জি: