খবর৭১ঃ শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আগামী রবিবার থেকে সরকারকে মানার পদক্ষেপ নেয়ার শর্ত দিয়ে শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের নেতা (নিসচা) ইলিয়াস কাঞ্চন। সড়ক দুর্ঘটনারোধে কার্যকর পদক্ষেপ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শুক্রবার (৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশে এ আহ্বান জানান তিনি।
মানববন্ধন ও সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেয় কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, সেফ দ্যা রোড, সন্ধীপ সমিতি ঢাকা, গণসংগতি আন্দোলন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি ও ইনছানিয়াত বিপ্লব, বাংলাদেশ। এছাড়া রাজধানী ও রাজধানীর বাইরের কলেজের ব্যানারে মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশ নিয়েছেন অনেকেই।
সমাবেশে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যে দাবি আপনার মেনে নিয়েছেন, তা আজ শুক্রবার, কাল শনিবার হয়তো সম্ভব নয়। কিন্তু রবিবার থেকেই যেনো আমরা দেখতে পাই সেই কাজগুলোতে আপনারা হাত দিয়েছেন।’
‘প্রথম কাজ হলো যারা নিয়ম-শৃঙ্খলার জন্য রাস্তায় থেকে গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করেন তাদের নিজেদেরই লাইসেন্স নেই। তাদের ডিপার্টমেন্ট, মন্ত্রণালয় থেকে যেনো নির্দেশনা আসে তাদের লাইসেন্স ঠিক করার জন্য। যারা ডান্ডাওয়ালা (পতাকার স্ট্যান্ড) গাড়ি ব্যবহার করার উপযুক্ত নন, তারা ডান্ডাওয়ালা গাড়ি ব্যবহার করেন। যারা দেশ চালাচ্ছেন, তারাই উল্টোপথে গাড়ি চালাচ্ছেন। তারা বলেন, আমরা আর করবো না, আমরা দুঃখিত। আমরা সন্তানদের কাছ থেকে শিখেছি আমরা আর করবো না, বাবারা তোমরা ঘরে ফিরে যাও। এভাবে বলেন, নিশ্চয় আমাদের সন্তাননা ঘরে ফিরে যাবে। আপনারা যদি কাজ শুরু করে দেন তাহলে আমি অবশ্যই বলবো আমার সন্তানরা যেনো ঘরে ফিরে যায়।’
মানববন্ধনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সম্প্রতি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পায়েলের মৃত্যু ও ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা সারাদেশের মানুষের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা দেশের সড়ককে নিরাপদ করার লক্ষ্যে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে মাঠেই রয়েছি এবং মাঠে থাকবো যতদিন না নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়ন হয়।’
শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত টানা এক ঘণ্টা মানববন্ধন ও সমাবেশ চলে। তবে সকাল ১০টা থেকেই বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তার দুই পাশ বন্ধ করে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন।
খবর৭১/এসঃ