শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

0
435
শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

খবর৭১ঃ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর, অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশা করে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য হবে। আমরা আশা করি যে, এটি অংশগ্রহণমূলক হবে। যারা এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়, যারা ভোটে অংশগ্রহণ করতে চায় বা যারা প্রার্থী, তাদের সে অনুযায়ী অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে বলে আশা করি।

সোমবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার কার্যক্রম দেখেন তিনি। এ সময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভোটারদের উদ্দেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, দয়া করে ভোটে অংশগ্রহণ করুন। হয়ত কিছু সময়ে নির্বাচন প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে কাজ করে না। কিছু সময়ে এটি গোলযোগপূর্ণ এবং অগোছালো হয়ে থাকে। তবে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। যা আমরা গত জাতীয় নির্বাচনে করেছি। তারা নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হবেন না, তারা মূলত কূটনৈতিক কোরের সদস্য হবেন। তারা নির্বাচনের দিন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দেখবেন।

নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, আজ যুক্তরাষ্ট্রে ছুটির দিন। কারণ আজ ‘মার্টিন লুথার কিং ডে’। গণতন্ত্রে ক্ষমতা এবং যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে তা মার্টিন লুথারের থেকে ভালো কেউ জানেন না। আর এ কারণেই আজ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি। আমি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দেখতে চেয়েছি। এ বিষয়ে (ইভিএম নিয়ে) বেশিকিছু শিখেছি।

ইভিএম নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ইসির কর্মকর্তারা আমাকে ইভিএম প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণ নিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন। এটি তারা ভোটারদের কাছেও ব্যাখ্যা করছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যে প্রার্থীকে ভোট দেন না কেন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে।

মিলার বলেন, এটি বেশ আশাব্যঞ্জক যে রাজনৈতিক দলের পক্ষগুলো তারা একে অপরকে যোগ্য প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছে। ফলে যেই জয় পাক না কেন, তিনিই পরবর্তী ঢাকার নেতা হবে। ঢাকার অধিবাসী হিসেবে এটি বেশ আশাব্যঞ্জক যা আমি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে শুনেছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here