খবর৭১ঃ বিচারহীনতার কারণে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘পরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হলে, ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক থাকলে এবং শাজাহান খানরা অনিয়মকে প্রশ্রয় না দিলে এ অবস্থা দেখতে হতো না।’
বুধবার (১ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জিয়া নাগরিক ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শাজাহান খানরা শ্রমিকদের কন্ট্রোলের বাইরে নিয়ে গেছে। আমি যখন পরিবহন ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিলাম শাজাহান খান তখন শ্রমিক নেতা। শাজাহান খান ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছে আমার অফিসের সামনে। চাঁদা বৃদ্ধির দাবিতে। আমি বলেছি কোন অনিয়ম প্রশ্রয় দেয়া হবে না।’
শিশুদের জীবন বাঁচানোর আন্দোলনে সরকার আতঙ্কিত বলেও মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দর সড়কে নিহত ২ শিক্ষার্থী হত্যার সাথে জড়িতদের এবং আন্দোলনকারী শিশুদের গায়ে যেসব পুলিশ সদস্যরা হাত তুলেছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘পাকিস্তান আমলের ইয়াহিয়া খানের মতো হাসি হাসলেন শাজাহান খান। ইয়াহিয়া খান ও টিক্কা খানের মত পৈশাচিক হাসি হাসছেন লীগের নেতারা। এই পৈশাচিক হাসি থেকে আমাদেরকে রক্ষা পেতে হবে।’
‘কোটা নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গায়ে যারা হাত তুলেছে তাদের বিচার করতে হবে। যারা ইন্ধন যুগিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। যেসব পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করছে, গুলি চালিয়েছে তারা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন নেন না? তারা (কোটা আন্দোলনকারীরা) তো চাকরি চায়নি তারা মেধার মূল্যায়ন চেয়েছে।’
আয়োজক কমিটির সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ারের সভাপতিত্ত্বে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, সহ-সাংগঠনিক অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, মহানগর সহ-সভাপতি ইউনুছ মেধা, সহ-সভাপতি ফরিদউদ্দিন, কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেন সরদার, ছাত্রদল নেত্রী আরিফা আক্তার রুমা, ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, সংগঠনের সহ-সভাপতি সায়েম মজুমদার সিপু, সাধারণ সম্পাদককে জামান প্রমুখ।
খবর৭১/এসঃ