শরণখোলা উপজেলা পরিষদের সামনে ঝুঁকিপূর্ন বাঁশের সাকোতে পারাপার

0
747
dig

বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা পরিষদের সামনের খালে বাঁশের তৈরী ঝুঁকিপূর্ন সাকো পার হয়ে আসতে হয় উপজেলা সদরে । গত ৩ বছর ধরে৭/৮ গ্রামের মানুষ দূর্ভোগ পোহাচ্ছে তবু এভাবেই রয়েছে ওই খালে সাকোটি । ওই খাল পারা পারের জন্য ইআই রেলের নির্মান এক মাত্র পুলটি ভেংঙ্গে পড়ে ৩ বছর আগে । এটি সংরক্ষন , মেরামত ও দেখভাল করার দায়িত্ব স্থানীয় ভাবে উপজেলা পরিষদের হলেও নজর নেই ওই অফিসের সামনের খালের ভেঙ্গে পড়া পুলটির দিকে। স্থানী সরকারের উন্নয়ন কর্মকর্তাদের চোখের সামনে তিন বছর তবু তা এখনো পুন:নির্মাণের চেষ্টা করা হয়নি। উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী ও স্কুল গামী ছাত্র-ছাত্রীরা ঝুঁকিপূর্ন সাকো পার না হয়ে এক কিলোমিটার পথ বাড়তি ঘুরে উপজেলা সদরে আসতে হচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, শরণখোলা উপজেলা পরিষদের সামনে রায়েন্দা ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত খালের উপর নির্মিত লোহার স্লিপার ব্রিজটি ২০১৫ সালের আগষ্ট মাসে ভেঙ্গে পড়ে। কেউ হতাহত না হলেও এ ঘটনায় এলাকার মানুষ বিপাকে পড়ে যায়। খালটির উত্তর প্রান্তে উপজেলা পরিষদ, সরকরী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দক্ষিণ প্রান্তে উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস, একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মহিলা দাখিল মাদ্রাসা ও একটি এতিমখানা রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছাড়াও রায়েন্দা ইউনিয়নের খাদা, মালিয়া, দক্ষিন রাজাপুর, উত্তর রাজাপুর, রসুলপুর, ভোলারপাড়, সোনাতলা, উত্তর তাফালবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষদের উপজেলা পরিষদে দাপ্তরিক কাজে আসতে হয়। এ ছাড়া প্রাণি সম্পদ দপ্তরটি ভাঙ্গা ব্রিজটির দক্ষিণ প্রান্তে থাকায় সাধারণ মানুষ তাদের গবাদী পশু চিকিৎসার জন্য আনা নেয়া করতে পারছেনা। খোন্তাকাটা ইউপি সদস্য আহমদুল্লাহ সানি বলেন, ব্রিজটি বিধস্তÍ হওয়ায় পর ৩ বছর ধরে ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীরা ঝুঁকিপূর্ন সাকো পার না হয়ে এখন এক কিলোমিটার পথ বাড়তি ঘুরে উপজেলা সদরে আসতে হচ্ছে। খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন দীর্ঘ তিন বছরেও ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ বাঁশের সাকো দিয়ে চলাচল করছে। এখানে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। শরণখোলা উপজেলা প্রকৌশলী চন্দন চক্রবর্তী জানান, ৮০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজটি আরসিসি ব্রিজ হিসেবে পুন:নির্মানে ডিপিপি ভূক্ত করার প্রস্তাব এলজিইডি’র প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেটি এখনো ডিপিপি ভুক্ত না হওয়ায় ব্রিজ নির্মাণ করা যাচ্ছেনা। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিংকন বিশ্বাস জানান, জন গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here