শব্দদূষনে আইন আছে প্রয়োগ নেই ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে মানুষ

0
437

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু চৌগাছা (যশোরঃ যশোরের চৌগাছা উপজেলা সদরে শব্দদূষন এখন নিয়মে পরিনত হয়েছে। গুটি কয়েক অসাধু ব্যবসায়ী তাদের পন্য বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন হিসাবে ব্যবহার করছেন প্রচার মাইক। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চসরে মাইক বাজিয়ে তাদের প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম বিড়াম্বনায়। শব্দ দূষনের কারনে অপুরনীয় ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন সব বয়সের মানুষ। এ ধরনের প্রচার প্রচারনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
সূত্র জানায়, চৌগাছ উপজেলা সদর এখন শব্দ দূষনের এক শহর হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। ব্যবসা বান্ধব উপজেলা হওয়ার সুবাদে খুব অল্প সময়ে উপজেলা সদরে শতশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বড় একটি অংশের মালিক তার দোকানের ঠিকানাসহ নানা লোভনীয় অফার দিয়ে নিয়মিত চালাচ্ছে প্রচার প্রচারনা। ভ্যান কিংবা ইজিবাইকে মাইক লাগিয়ে তা সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে প্রচারনা। পোল্ট্রি মুরগী ব্যবসায়ী, বড়ি বা ডাল মিল, চালকল, ক্লিনিক ব্যবসা এমনকি বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিলের প্রচার মাইকে অতিষ্ঠ উপজেলাবাসি। কোন নিয়ম কানুন নেই তাদের কাছে, উচ্চ স্বরে বাজছে মাইক, চলছে আবাসিক এলাকা এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মসজিদ হাসপাতালের সামনে। এমনও দেখা গেছে সড়কের পাশে প্রতিষ্ঠানে চলছে পরীক্ষা ওই সড়ক দিয়ে মাইকে চলছে প্রচারনা। নামাজের সময়ে মুসল্লিরা নামাজ আদায়ে মসজিদে দাড়িয়ে তখনও চলছে প্রচারনা। এ সব প্রচার মাইকের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিটি যানবাহন উচ্চস্বরে হর্ণ বাজিয়ে শহরের সড়ক গুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সকল অনিয়মকে তারা নিয়মে পরিনত করে দিনের পর দিন শব্দ দূষন করে গেলেও যেন দেখার কেউ নেই।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫-এর ক্ষমতাবলে শব্দ দূর্ষন (নিয়ন্ত্রন) বিধিমালা-২০০৬ প্রণায়ন করা হয়। বিধিমালার আওতায় নীরব, আবাসিক, মিশ্র, বানিজ্যিক ও শিল্প এলাকা চিহিৃত করে শব্দের মানমাত্রা নির্ধারন করে দেয়া হয়েছে। আইন অমান্য করলে প্রথমবার অপরাধের জন্য ১ মাসের কারাদন্ড বা অনাধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ড এবং পরবর্তী অপরাধের জন্য ৬ মাসের কারাদন্ড বা অনাধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এই আইনের প্রয়োগ তেমন দেখা যায়না। শব্দ দূষনে মানুষ যে কতটাই ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন তা অনেকেরই অজনা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎকের মতে, উচ্চমাত্রায় শব্দের কারনে মানুষের শ্রবনশক্তি হ্রাস, বধিরতা, হৃদরোগ, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, আলসারসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ্য হন শিশু ও বয়স্করা। এমনকি গর্ভে থাকা সন্তানও শব্দদূষনে ক্ষতির শিকার হয়, অর্থাৎ তাদের শ্রবনশক্তি খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যয়। এমতাবস্থায় ব্যস্ত ও জনবহুল শহর চৌগাছায় শব্দদূষন নিয়ন্ত্রনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন উপজেলার সচেতন মহল।

খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here