খবর ৭১ঃ পবিত্র শাবান মাসের শবে বরাতের তারিখ নির্ধারণে ইসলামিক ফাইন্ডেশনের কাছে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের আবেদন করতে বলেছে হাইকোর্ট। ২০ নাকি ২১ এপ্রিল শবে বরাত হবে তার সিদ্ধান্ত দেবে ইফা—এমন মন্তব্য করে রিটকারীদের ফেরত দিয়েছে আদালত।
১৫ এপ্রিল, সোমবার এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতের আদেশটি জানান রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।
তিনি বলেন, ‘আদালত বলেছেন শবে বরাতের বিষয়টি ধর্মীয়। এ ব্যাপারে আদালত কোনো সিদ্ধান্ত দিবে না।’
গত ১৩ এপ্রিল শনিবার শাবান মাসের তারিখ ঘোষণাকে ‘ভুল’ আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও চাঁদ দেখে ঘোষণার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশকে আইনি নোটিশ পাঠান ১০ ব্যক্তি। তাদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ ওমর শরীফ লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ সংশ্লিষ্টরা যদি চাঁদ দেখার পর নেওয়া সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে, তাহলে এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসকসহ খাগড়াছড়ি থানা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়। পরে জবাব না পেয়ে তারা আদালতে রিট করেন। শুনানি শেষে আজ আদালত এ আদেশ দেয়।
রিটকারীদের যুক্তি ছিল, গত ৬ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে ইসলামি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সন্ধ্যায় চাঁদ পর্যবেক্ষক কমিটির বৈঠকে একটি প্রেস রিলিজ জারি করে যে, শাবান মাসের নতুন চাঁদ বাংলাদেশে কোথাও দেখা যায়নি, তাই পবিত্র শাবানের মাস ৮ এপ্রিল, ২০১৯ সাল থেকে শুরু হবে। অথচ ৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি জেলার হাতিমুড়া এলাকার বহু সংখ্যক প্রত্যক্ষদর্শী পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখেছেন। চাঁদ দেখার সংবাদ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জেলা চাঁদ দেখাবিষয়ক কমিটির সভাপতি খাগড়াছড়ি জেলার ডিসির মাধ্যমে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন’কে জানানোর পরও শাবান মাসের চাঁদ দেখার সঠিক তারিখ ঘোষণা করছে না ইসলামিক ফাউন্ডেশন। যা সম্পূর্ণরূপে শরিয়তবিরোধী।
লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান, আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ, মুহম্মদ মাহবুব আলম, মুহম্মদ আরিফুর রহমান, সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুক্তাদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, আবু বকর সিদ্দিক হাসান, হাফিজ মুহম্মদ মাইনুল ইসলাম পারভেজ, কবির হুসাইন এবং মুহম্মদ আবদুল মান্নান।