শচীন টেন্ডুলকারের ৪৫তম জন্মদিন আজ

0
306

খবর ৭১: ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের ৪৫তম জন্মদিন আজ। ১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ে জন্ম তাঁর।

শচীনের তুলনা কেবল শচীনই। তিনি সর্বকালের, সর্ব যুগের শ্রেষ্ঠ ক্রিকেটার। এটা কোনো অতিআবেগী বিশ্লেষণ নয়। এটি স্বীকার করে নিয়েছেন ক্রিকেটসংশ্লিষ্ট সবাই। হয়তো ব্র্যাডম্যান বেঁচে থাকলে তাই বলতেন। শচীন কেবল ভারতেরই নয়, গোটা ক্রিকেট বিশ্বেরই গর্ব।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৮৯ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের মধ্যদিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল তার। পরের গল্পটা তো সবারই জানা। ১৭ বছর বয়সে টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরি। টেস্ট ও ওডিআইতে সবচেয়ে বেশি রান ও সেঞ্চুরির মালিক টেন্ডুলকার ৩৬ বছর বয়সে ওডিআইতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন।

১৯৮৯ সালের নভেম্বরে অভিষেক হওয়ার পর থেকে অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত টেস্ট শচীন খেলেছেন ২০০টি। যাতে ৫৩.৭৮ গড়ে রান করেছেন ১৫ হাজার ৯২১। ৫১টি শতক ও ৬৮টি অর্ধশতকে এই রান করেন লিটল মাস্টার। সর্বোচ্চ ২৪৮ রান। হাত ঘুরিয়ে উইকেটও নিয়েছেন ৪৬টি।

টেস্টের তুলনায় শচীনের ওয়ানডে ক্যারিয়ার ছিল আরও বর্ণাঢ্য। ক্যারিয়ারে একদিনের ম্যাচ খেলেছেন ৪৬৩টি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যা সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড। ৪৪.৮৩ গড়ে রান করেছেন ১৮ হাজার ৪২৬। ৪৯টি শতক ও ৯৬টি শর্ধশতকে এই রান করেছেন শচীন। ওয়ানডেতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি (২০০*) এসেছে তার ব্যাট থেকেই। ওয়ানডেতে বল হাতেও ছিলেন বেশ উজ্জ্বল। ক্যারিয়ারে তার ওয়ানডে উইকেটের সংখ্যা ১৫৬টি। টেস্ট ও ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান ও সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিতে সবার অনেক ওপরে টেন্ডুলকার।

২০১২ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একশ’সেঞ্চুরির বিরল কীর্তি গড়েন শচীন।

ক্যারিয়ারে মোট ছয়টি বিশ্বকাপ খেলেছেন শচীন। তার সর্বশেষ বিশ্বকাপ অর্থাৎ ২০১১ সালে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতে ক্যারিয়ারের প্রাপ্তির খাতাটা ষোল কলায় পূর্ণ করেন ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তী।

২০১২ সালে ওয়ানডে ও ২০১৩ সালে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান শচীন। ক্রিকেট অভিধানের প্রায় সব রেকর্ডই নিজের নামের পাশে যোগ করে ‘লিটল মাস্টার’উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here