লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি:
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মার্কেটের চারতলা ভবনের নির্মাণ কাজ নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মসজিদ পরিচালনা পর্ষদ এর অভিযোগে জানা গেছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি লোহাগড়া থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম, সাবরেজিস্ট্রার তন্ময় কুমার মন্ডল, মসজিদ পরিচালনা পর্ষদ নেতৃবৃন্দ সহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ(হাসপাতাল সংলগ্ন) মার্কেটের চারতলা ভবনের নির্মাণ কাজের গোড়াপত্তন করেন। পরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি লোহাগড়া পৌর মেয়র উপজেলা যুবলীগ সভাপিত মোঃ আশরাফুল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদ মার্কেটের চারতলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এসময় কোন ব্যবসায়ি বাধাপ্রদান করেননি। পরিকল্পনা অনুযায়ি কমিটির নেতৃবৃন্দ ২২ ও ২৩ মার্চ মসজিদ মার্কেটের পুরাতন জরাজীর্ণ ১২ টি দোকানঘর অপসারণের চেষ্টা করেন। এরপর থেকেই মার্কেটের পুরাতন দোকানদার জাকির, মজনু, সিরাজ, লাবলু মসজিদের কাজ বন্ধ করতে তালবাহানা শুরু করে। ওই দোকানদার চারজনসহ ৮/১০ জন বহিরাগত ও স্বার্থান্বেষী মহল মসজিদের উন্নয়নের বিপক্ষে নিজেদের দাবি আদায় ও কাজ বন্ধ রাখার দাবিতে শনিবার মানববন্ধন করে।
মসজিদের কাজে বাধা দেয়ায় কমিটির নেতৃবৃন্দ, এলাকার মুসল্লি ও সাধারণ মানুষ চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুজ্জামান বাচ্চু ও অর্থ সম্পাদক মোঃ সালেক মুন্সী জানান, নির্মাণ কাজ শুরুর আগে দোকানদারদের মৌখিকভাবে জায়গা পরিস্কার ও মালামাল সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা মালামাল সরালেও পুরাতন জরাজীর্ণ স্থাপনা সরাতে অপরাগতা প্রকাশ করে ষড়যন্ত্র শুরু করে। মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ গোলাম মোর্শেদ বলেন, নতুন ঘর নির্মাণ হলে পুরাতন ব্যাবসায়িদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। মসজিদের আয় বাড়বে। অথচ ৪/৫ জন দোকানদার মসজিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। মসজিদের নিজস্ব জায়গায় মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে, মসজিদের জমির সামনে জেলা পরিষদের ২/৩ হাত জমি রয়েছে। ওই ষড়যন্ত্রকারীরা জেলা পরিষদের ওই জমির অজুহাতে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। প্রয়োজনে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। দোকানদার জাকির সহ কয়েকজন দাবি করেছেন, তাদের আগে জানানো হয়নি।
খবর ৭১/ ই: