লোহাগড়ার শিক্ষক মোস্তফাসহ পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি

0
226

লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় মোঃ গোলাম মোস্তফা নামে জনপ্রিয় শিক্ষক ও তার স্ত্রী,কণ্যার নামে মিথ্যা মামলা, বসতভিটা থেকে উচ্ছেদসহ গুম খুনের হুমকি দেয়ার পরে ওই শিক্ষক ও তার স্ত্রী,কণ্যার নামে প্রাচীর ভাঙ্গা ও জমির কাগজপত্র চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-০৬।
অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার এম.মাটিয়াডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম মোস্তফা গোপিনাথপুর গ্রামস্থ বাড়িতে বসবাস করেন। কিন্তু গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত জামিয়ার রহমানের ছেলে আপন ভাই মোঃ আমিনুল বারী ওই শিক্ষক পরিবারকে বসত ভিটা থেকে তাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সময়ে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। সর্বশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর মোঃ আমিনুল বারী বাদি হয়ে ২ সেপ্টেম্বর তার বাড়িতে গেটের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ঘরের মধ্যে থাকা কাগজপত্র তছনছ ও জমাজমির কাগজপত্র চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে শিক্ষকের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। মিথ্যা মামলা দায়ের হতে পারে এমন আশংকায় ওই শিক্ষক ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসন ও এলাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়েছিলেন। তারপরও মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষা পায়নি ওই শিক্ষক পরিবার।
জনপ্রিয় ওই শিক্ষক ও তার পরিবারের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় এলাকার লোক চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম মোস্তফা অভিযোগে জানান, মোঃ আমিনুল বারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাকালীন শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল এবং বর্তমানে শিবিরের অর্থ যোগানদাতা। চাকুরীর সুবাদে এবং কোচিং বানিজ্যের কারনে সে অনেক কালো টাকার মালিক। মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানায় আমিনুল বারীর নামে ডাকাতি মামলা ছিল। মামলা নং -০৪, ১৭/০১/২০১১ । আমিনুল বারী ওই প্রধান শিক্ষকের পৈত্রিক যায়গা অবৈধভাবে দখল করে দেওয়াল দিয়ে ঘিরে রেখেছে।

মামলায় খুলনা বিশ্ববিদ্যাল থেকে ইংরেজী সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করা বর্তমানে ঢাকায় বিসিএস কোচিংরত শিক্ষকের মেয়ে মিতিসহ তার মা আলেয়া মোস্তফাকে আসামী করা হয়েছে। মামলার বাদি সহ তার সহযোগীরা মিতি ও তার পিতাকে বিভিন্ন মাধ্যমে গুম খুনের হুমকি দিচ্ছে। ওই পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষকের চাকুরী খাওয়ার হুমকি দিয়েছে আমিনুল বারী। ওই মামলায় শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ৭ সেপ্টেম্বর নড়াইল আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। আমিনুল বারীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। ভূক্তভোগী প্রধান শিক্ষক হয়রানি থেকে বাঁচতে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস এ বিষয়ে বলেন, আপন দুই ভাইয়ের মনের দ্বন্ধ। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here