লোহাগড়ার মেধাবী ছাত্র রেজুয়ান হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের

0
287

লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়ার মেধাবী ছাত্র মো: রেজুয়ান শেখ(২১)কে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৬ জানুয়ারি মো: রেজুয়ান শেখ বাদি হয়ে লোহাগড়া থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও মামলার সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের ডিগ্রীরচর গ্রামের ফরমান আলীর ছেলে রেজুয়ান শেখ খুলনা বি,এল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে লোহাগড়া পৌরসভার ছাতড়া গ্রামস্থ মামা বাড়িতে যাবার পথিমধ্যে নিমাইকুন্ডুর বাড়ির পাশের্^ পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা পোদ্দারপাড়ার আবু সাইদ শিকদারের ছেলে আব্দুর রহিম এর নেতৃত্বে জালাল কাজীর ছেলে হাকিম সহ শাওন, ইব্রাহিম, সোহেল, লিমন, মাহমুদ, নাসিম, সুমন, সবুজ ও অজ্ঞাতরা মিলে রামদা, ছ্যানদা, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, হকিস্টিকসহ অন্যান্য ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে রেজুয়ান শেখ কে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। স্থানীয়রা মারাত্বক জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসাপতালে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আশংকাজনক অবস্থা হওয়ায় রেজুয়ান কে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা সরকারি হাসাপাতালে প্রেরণ করে।
রেজুয়ানের পিতা অভিযোগ করেন, আসামীদের মধ্যে কয়েকজনে কিছুদিন পূর্বে আমার বড় ছেলে সরকারি লোহাগড়া আদর্শ কলেজের ছাত্র এফ,আর রোমান রায়হানকে কুপিয়ে ও মারপিট করে জখম করে মালামালসহ নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনায় গত ৬ নভেম্বর লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-৩২২/১৮। ওই মামলা প্রত্যাহারের জন্য আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে আমার দু ছেলে সহ আমাকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর আসামীরা আমার মোটর সাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। মোটরসাইকেল চুরি ও পূর্বে দায়েরকৃত মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আমার ছেলে রেজুয়ান শেখ লোহাগড়া বাজারস্থ ফয়েজমোড়ে আসামীদের সাথে কথোপকথনকালে বাকবিতন্ডা হয়। বাকবিতন্ডার জের ধরে আসামিরা ওই রাতেই রেজুয়ানকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। আসামীরা পলাতক থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ^াস বলেন,আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here