লিভারের জীবাণু ধ্বংস করে ম্যালেরিয়া ঠেকাবে নতুন ওষুধ

0
261

খবর ৭১ঃম্যালেরিয়া চিকিৎসায় অগ্রগতির খবর দিল যুক্তরাষ্ট্র। ৬০ বছরের মধ্যে এই প্রথম ট্যাফেনোকুইন নামের এক ধরনের ট্যাবলেটকে ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য সবুজসংকেত দিয়েছে দেশটি।

ম্যালেরিয়া ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ট্যাফেনোকুইনকে অনুমোদন দিয়েছে। এটি লিভারে লুকিয়ে থাকা ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধ্বংস করে আবারও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাবে। খবর বিবিসির।

তাই বিজ্ঞানীরা এখন এর চিকিৎসায় ট্যাফেনোকুইনকেই বড় অর্জন হিসেবে বিবেচনা করছেন। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখন বিবেচনা করে দেখবে তাদের দেশের মানুষের জন্য ওষুধটি দেয়া যায় কিনা।

তবে পুনরায় জেগে ওঠতে পারে এমন ম্যালেরিয়ার জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকে শিশুরা। মশার কামড়ের মাধ্যমে এটি একজন থেকে অন্যজনের মধ্যে সংক্রমিত হয়ে থাকে।

এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ট্যাফেনোকুইনকে অনুমোদন দিয়েছে এবং বলা হচ্ছে- এটি লিভারে লুকিয়ে থাকা ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধ্বংস করে আবারও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়া থেকে ঠেকাবে। একই সঙ্গে কেউ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলে অন্য ওষুধের সঙ্গেও এটি সেবন করা যাবে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিক প্রাইস তাই বলছেন, ৬০ বছরের মধ্যে ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য অর্জন।

ওষুধ হিসেবে ট্যাফেনোকুইন আছে সত্তরের দশক থেকেই, কিন্তু লিভারে থাকা ম্যালেরিয়ার জীবাণু থেকে রক্ষা পেতে এটিকে নতুন করে নেয়া হল।

তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন- ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় ওষুধ কোর্স সেবন করতে হবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) বলেছে, নতুন এ ওষুধটি খুবই কার্যকরী এবং ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, যা সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।

যেমন- এনজাইম সমস্যায় ভুগছেন এমন কারও এই ওষুধ সেবন করা উচিত নয় বলে মনে করছেন তারা।

আবার মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন তেমন কারও জন্য বেশি মাত্রায় এ ওষুধ হিতেবিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যদিও এসব সতর্কতার পরও সবাই আশা করছেন অন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার সঙ্গে এ ওষুধটি ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় দারুণ ভূমিকা রাখবে।

বিশ্বে এ ধরনের ম্যালেরিয়াতে প্রতিবছর আক্রান্ত হন প্রায় ৮৫ লাখ মানুষ। এ টাইপের ম্যালেরিয়াকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ পুনরায় জাগ্রত হওয়ার আগে লিভারের মধ্যে এটি বহু বছর ধরে থেকে যেতে পারে।

খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here