লালমনিরহাট পৌর মেয়রের স্বাক্ষর জাল ,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ২কর্মচারীসহ ৩জন আটক

0
553
Exif_JPEG_420

আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি :লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টুর স্বাক্ষর জাল করার দায় সোমবার (৬আগস্ট) দুপুর ১টায় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ২কর্মচারীসহ ৩জনকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। এরা হলেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান (৪০) ও মমিনুল ইসলাম (৪৫)। বহিরাগত শহরের তালুক খুটামারা এলাকার আমিনুল ইসলামের স্ত্রী সুমি বেগম (৩০)।
পৌরসভার মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু জানান, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত “কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচী” আওতাধীন লালমনিরহাট পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৫০ জনকে ভাতা প্রদানের জন্য ১ আগষ্ট থেকে আবেদন ফরম বিতরণ শুরু করা হয়। আবেদনকারী পৌরসভার বাসিন্দা হিসেবে মেয়রের নাগরিকত্বের সদনপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও মমিনুল ইসলাম যোগসাজশে শহরের তালুক খুটামারা এলাকার আমিনুল ইসলামে স্ত্রী সুমি বেগমের মাধ্যমে এলাকার হতদরিদ্র মহিলাদের সরকারী ভাবে মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দিয়ে প্রত্যেকের নিকট থেকে ৩/৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে পৌর মেয়রের স্বাক্ষর, সীল ও প্যাড জাল করা ফরম সরবরাহ করেন। সরকারী কর্মসূচীর নামে হতদরিদ্রদের নিকট থেকে নেওয়া টাকা জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অতিরিক্ত সাবরিনা লাকীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা মিলে ভাগবাটরা করে নেন। এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা/কর্মচারীর কারণে সরকারের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।
৬আগস্ট সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যান পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টুসহ কাউন্সিলরগণ। সেখানে অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও মমিনুল ইসলামের নিকট থেকে তার স্বাক্ষর, সীল ও প্যাড জাল করে আবেদন ফরম পুরন করাবস্থায় হাতেনাতে আটক করেন। পরে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ হাতে আটককৃত ৩জনকে র্সোপদ করেন। ওই সময় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অনেক হতদরিদ্র মহিলারা ভীড় জমান।
পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু বলেন, আমার স্বাক্ষর জাল করে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচীর ফরম পুরন করা হচ্ছিল। আমিসহ কাউন্সিলরগণ তাদের হাতেনাতে ধরে সদর থানা পুলিশ হাতে সোর্পদ করেছি।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অতিরিক্ত সাবরিনা লাকী বলেন, পৌর মেয়রের স্বাক্ষর জাল বাহিরে হয়েছে। যদি আমার অফিসে কোন কর্মচারী এর সাথে জড়িত থাকে তাহলে আমার কাছে অভিযোগ করলে আমি ব্যবস্থা নিবো। যে কেউ অভিযোগ করে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করাবে এটা হয় না।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ আলম বলেন, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে পৌর মেয়রের স্বাক্ষর জালের ঘটনায় অফিসের ২কর্মচারী নজরদারীতে রাখা হয়েছে এবং বহিরাগত সুমি নামক একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অফিসের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর ৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here