লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সরকারী অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ

0
226

আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনারহাটঃ লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বজলার রহমান বিরুদ্ধে ভুয়া ভাউচারে সরকারী অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপজেলা প্রকৌশলী প্রকাশ কান্তি ও এসও আলী হোসেন জড়িত রয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের দাবীতে প্রধান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, চলতি অর্থবছরে লালমনিরহাট জেলা সদরসহ হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী উন্নয়নে জন্য সরকার ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। এসব বরাদ্দের বিপরীতে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর মাঝে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য উন্নতমানের পাতকুয়া, গভীর নলকুপ ও স্যানিটারী ল্যাট্রিন স্থাপন করা পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়। এসব উন্নয়নে বিপরীতে ওই ৩জনের বিরুদ্ধে চলমান কাজের ভুয়া ভাউচারে সরকারের প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম বিলুপ্ত ছিটমহলে সরকারী বরাদ্দকৃত পাতকুয়া ও নলকুপ স্থাপন কাজ নিম্নমানের করা হয়েছে। পাতকুয়া ও নলকুপ স্থাপনে গভীরতা সঠিকভাবে না করে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ভাগাভাগি করে নেয়া হয়। নলকুপের গভীরতাও স্বল্প, পাইপগুলো নমল, নলকুপের হেড ভাংড়ি মাল দ্বারা তৈরিকৃত হেড ব্যবহার করা হয়েছে। সিডিউল অনুয়াযী নলকুপে ৬নং মাথা/হেড আর.এফ.এল/ন্যাশনাল পলিমার/পিসিএল/আজিজ ব্রান্ডের মালামাল ব্যবহার করার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। ব্যবহার করা হয়েছে ভাংড়ি হেড। এতে প্রতিটি হেডের ২ হাজার ২শত টাকা চুরি হিসাবে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।
উন্নতমানের স্যানিটারী ল্যাট্রিন স্থাপনে সিডিউল মোতাবেক না করে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা তোলা হয়েছে। যা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বজলার রহমান ও হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী প্রকাশ কান্তি ভুয়া ভাউচারে সরকারী অর্থ আত্নসাত করেছেন।
এছাড়াও পিইডিপি-৩ প্রকল্পের ৬টি ওয়াস ব্লক বহু আইটেমের কাজ না করে ৬ লক্ষ টাকার ভুয়া বিল পরিশোধ দেখিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর বজলার রহমানসহ সংশ্লিষ্ট এসও আলী হোসেন মিলে সমুদয় অর্থ ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন। যা তদন্ত করলে প্রমাণ মিলবে, বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর উন্নয়নে ৬ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে কি পরিমান অনিয়ম করা হয়েছে।
অপর একটি সুত্র জানান, এসও আলী হোসেন কালীগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্বে থাকাবস্থা স্কুল ওয়াস ব্লক বহু আইটেমের কাজে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি আশ্রয় নিয়েছেন। এমনকি স্কুল কমিটির সভাপতি/প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া বিল পরিশোধের নামে নিজপকেটস্থ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এসও আলী হোসেন সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী প্রকাশ কান্তি বলেন, নিয়ম মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে। উন্নয়নের নামে অনিয়ম হলে তার জবাব জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী দিবেন। তার অনুমতি ছাড়া আমি কিছুই বলতে পাবো না।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বজলার রহমান বলেন,
সরকারী নিয়ম অনুয়াযী ইতিমধ্যে ৫০% কাজ শেষ করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তারা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী উন্নয়ন কাজ সিডিউল মোতাবেক চলমান রয়েছে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here