লালমনিরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারসের গণজোয়ার

0
300

আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট : লালমনিরহাট সদর উপজেলাবাসীর সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনায় রচিত যে মহাকাব্য গ্রামীণ জীবনকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত সেই উপজেলাবাসীর অধিকাংশ মানুষের বসবাস প্রত্যান্ত গ্রামে। এসব মানুষের মাঝে ভোটের উৎসবে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কামরুজ্জামান সুজন। উঠছে আনারসের গণজোয়ার। মাঠে-ঘাটে বইছে আনারস প্রতীকের সুবাতাস। কখনও কোন নির্বাচনে অংশ না নিলেও এবার প্রথম পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় কামরুজ্জামান সুজনকে সাধারণ ভোটাররা হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবেই দেখছেন।
জানা গেছে, আগামী ১০ মার্চ লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে সদর উপজেলা পরিষদ গঠিত। এতে মোট ২ লক্ষ ৫১ হাজার ৬ শত ৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তারমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৫ শত ৩২ জন ও নারী ভোটার ১ লক্ষ ২৬ হাজার ১ শত ৪৯ জন। সব মিলিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোটের উৎসবমূখর পরিবেশ ও প্রচারণার আমেজ জানিয়ে দেয় যে, নির্বাচন একদম দোড়গোড়ায়। এমনকি চায়ের দোকান, পাড়া মহল্লা, মাঠ-ঘাট, হাট-বাজার সর্বত্র সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে ভোটের আলোচনা।
বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রাম এলাকা ঘুরে জানা গেছে, লালমনিরহাট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগের প্রবীন রাজনীতিবীদ ইঞ্জিঃ আবু সাঈদ দুলাল এর একান্ত সচিব হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন কামরুজ্জামান সুজন। এ সুবাদে সদর উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের সাথে কামরুজ্জামান সুজনের রয়েছে মহেন্দ্রনগর, হারাটি, গোকুন্ডা, রাজপুর, খুনিয়াগাছ, পঞ্চগ্রাম, বড়বাড়ী, কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নবাসীর সাথে নিবিড় সর্ম্পক। এসব এলাকায় রয়েছে কামরুজ্জামান সুজনের আনারস প্রতীকের বিশাল ভোটের ব্যাংক। শুধু তাই নয়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান সুজন তরুƒণ উদীয়মান জননেতা, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে বিশ্বাসী এবং ৯টি ইউনিয়নে রয়েছে বিশাল কর্মীবাহিনী ও ক্লিন ইমেজ। এছাড়াও দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দল পরিচালনায় অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেয়ার পাশাপাশি কোন বিতর্কের ছাপ নেই কামরুজ্জামান সুজনের অতীত জীবনে। ফলে সব দিক থেকে কামরুজ্জামান সুজন এগিয়ে রয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সভ্রান্ত পরিবারের সন্তান, সততা, দক্ষতা ও পিতা ভাষা সৈনিক, মহান মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক ও শিক্ষক মৃত: মনিরুজ্জামান এর ক্লিন ইমেজ পুত্রের জয়লাভের ভিতকে শক্তিশালী করে তুলছে। অন্যান্য প্রার্থীর নামে মাঠে-ঘাটে সমালোচনা উঠলেও সুজন এদিক থেকে রয়েছেন সবার উর্ধ্বে। ফলে এবার নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা কামরুজ্জামান সুজনকে বেশ গুরুত্বের সাথে দেখছেন।
দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জানান, তাই নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে কামরুজ্জামান সুজনের জয়ের পাল্লা ততই ভারি হচ্ছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক থাকলেও আ’লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যন প্রার্থীর থাকছে আনারস প্রতীক। দলীয় হিসাব যেটাই হোক না কেন, প্রতিদ্বন্দিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে তুলনা মূলক সৎ, যোগ্য, স্বচ্ছ ব্যক্তি এ বার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান সুজন। দলীয় আদর্শের প্রতি অবিচল ত্যাগ, দৃঢ চেতনা ও সংগ্রামী কামরুজ্জামান সুজনের পক্ষে কাজ করছেন উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ ও শ্রমিকলীগসহ সাধারণ ভোটাররা। ফলে সাধারণ ভোটারদের কাছেও বেশ জনপ্রিয় এবং একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে যতই দিন যাচ্ছে ততই ভোট পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের অবস্থান সুবিধাজনক না হওয়ায় তাদের অনেক সমর্থকরা সাধারণ ভোটারদের সাথে মিশে আনারসের পক্ষে কাজ করছেন। এ ছাড়াও বিএনপি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করলেও গোপনে অনারস প্রতীকে সমর্থন দিচ্ছেন এবং বিএনপির বিশাল ভোট ব্যাংক চলে যাবে আনারস প্রতীকের ঝুঁড়িতে। ফলে আনারস প্রতীকের জয়-জয়লাভের আভাস মাঠ পর্যায়ে ফুঁটে উঠেছে এবং বিজয় নিশ্চিত ছিনিয়ে নিতে পারেন।
জাতীয় শ্রমিকলীগ, সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক দুলু জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সভায় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত থেকে তাদের উচ্ছ্বাস ও প্রত্যাশার কথা জানান। সভায় তার প্রতিফলন হিসেবে লক্ষ্য করা গেছে। ফলে কামরুজ্জামান সুজন যেমন দলীয় নেতাকর্মীর কাছে আস্থাশীল হয়ে উঠেছেন, ঠিক তেমনি সাধারণ ভোটারদের কাছেও কামরুজ্জামান সুজন বেশ জনপ্রিয় এবং একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।
বড়বাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আশরাফুল হক মিঠু বলেন, আমরা বড়বাড়ী ইউনিয়নবাসী কামরুজ্জামান সুজনের আনারস প্রতীকেই ভোট দিবো। এলাকায় আনারসের গণজোয়ার উঠেছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা নৌকা প্রতীককে আমরা মনেপ্রাণে ভালবাসি। তিনি ২০ বছর ধরে আ’লীগে রাজীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির ভোট নিয়ে নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তেমন কোন উন্নয়ন করতে পারেনি। তাই আমরা এবারেও তাকে সমর্থন করছি না।
মোগলহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বলেন, দলীয় হিসাব যেটাই হোক না কেন, আমরা মোগলহাটবাসী কামরুজ্জামান সুজনের পক্ষে প্রতিটি গ্রাম, ওয়ার্ড পর্যায়ে নির্বাচনী প্রচারনায় ও গণসংযোগ চালাচ্ছি। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে আনারস প্রতীক জয়লাভ করবেন বলে আমি আশা করছি।
এ ব্যাপারে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কামরুজ্জামান সুজন বলেন, গরীব ও মেহনতি মানুষের সেবার পরিধি বৃহৎ আকার দেওয়ার জন্যই স্বতত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। এতে আমি সফল হলে কাজের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা প্রমান দেব, মিথ্যা দিয়ে নয়।
তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়ন না পেলেও দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণের সমর্থন নিয়ে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহন করেছি। আমি বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করতে চাই।
কামরুজ্জামান সুজন আরও বলেন, প্রার্থীরা বিভিন্ন ভোটারদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্ঠি করতে পাড়ে। এ জন্য তিনি সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে নিজের প্রতীক আনারস মার্কায় একটি করে ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি সকলের দোয়া কামনা করেন।

খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here